ওসি মোয়াজ্জেম আদালতে - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
জাতীয়

ওসি মোয়াজ্জেম আদালতে

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দি ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়ানোর ঘটনায় আইসিটি আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে সাইবার ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করে সোনাগাজী থানা পুলিশ।

তবে আদালতে নেওয়ার সময় ওসি মোয়াজ্জেমের হাতে হাতকড়া না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ব্যারিস্টার সাইয়্যেদুল হক সুমন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ওসি মোয়াজ্জেমও আসামি। সেক্ষেত্রে তার ক্ষেত্রে কেন এই ধরনের অতিরিক্ত ভিআইপি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে?

আদালতে হাজিরের পর যেকোনো আসামিকে হাজতখানায় রাখা হয়। সে অনুযায়ী, ওসি মোয়াজ্জেমকে আদালতে হাজিরের পর কোথায় রাখা হয়েছে তা জানা যায়নি। দুপুর ২টার দিকে তার মামলার শুনানি হবে বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে ওই সময়ের আগেই তাকে আদালতে তোলা হবে।

এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সোনাগাজী থানার তিনজন পুলিশের কাছে ওসি মোয়াজ্জেমকে হস্তান্তর করে শাহবাগ থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ২০ দিন পর গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগের হাইকোর্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আগুনে পুড়িয়ে হত্যার শিকার মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি করেছিলেন ব্যারিস্টার সাইয়্যেদুল হক সুমন।

গত ৬ এপ্রিল এইচএসসি সমমানের আলিম আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা নুসরাত জাহান রাফিকে ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে গত ১০ এপ্রিল নুসরাত মারা যান।

এর কিছুদিন আগে নুসরাত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান। থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন সে সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ওই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে সেটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআই গত ২৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে ওইদিনই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন মোয়াজ্জেম। তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছিল না পুলিশের, এমনকি তিনি আত্মসমর্পণও করেননি।

পরে গত ৮ মে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে তিনি রংপুর রেঞ্জ অফিসে যোগ দেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর তিনি সেখান থেকে নিরুদ্দেশ হন।

Comment here