কক্সবাজার প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছি। নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া ওয়াদা রক্ষা করেছি। শতভাগ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছি। আজকে বাংলাদেশের মানুষ ডিজিটাল দেশের সব সুবিধা ভোগ করছেন।’ তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে। তাই সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট অনুষ্ঠিত ‘উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কক্সবাজারে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে কক্সবাজারে যাওয়ার স্বপ্নটা আমাদের বেশি ছিল। তাই আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সময় পেলে আমাদের সেখানে নিয়ে যেতেন। তিনি বেশিরভাগ সময় জেলে থাকতেন। তাই জেল থেকে ছাড়া পেলেই আমাদের কক্সবাজার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেন। আমরা বাবার কাছে বায়না ধরতাম।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে কক্সবাজার যখন বিধ্বস্ত হয়, তখন আমরা কুতুবদিয়া, বদরখালী, মহেশখালীসহ বিভিন্ন বাড়িতে গিয়েছি। তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু সে সময়ে খালেদা জিয়া ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কোনো খবর নেননি।’
সরকারপ্রধান বলেন, কক্সবাজারে এক্সক্লুসিভ পর্যটন এলাকা, স্টেডিয়াম, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মেডিকেল কলেজ, রেললাইন প্রকল্প থেকে শুরু করে ব্যাপক উন্নয়নের চলছে।
সকাল থেকে দিনব্যাপী কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ‘উন্নয়নের নতুন জোয়ারে বদলে যাওয়া কক্সবাজার’ স্লোগানে বাংলাদেশের উন্নয়ন উৎসব শুরু হয়। পরে রাতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি চট্টগ্রামের ভাষায় কক্সবাজারবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘তোয়ারা লাই আর পেট পুড়ে’। এটি শুনে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন কক্সবাজারের মানুষ।
Comment here