কতটা বিপজ্জনক করোনার ভারতীয় ধরন - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
আন্তর্জাতিক

কতটা বিপজ্জনক করোনার ভারতীয় ধরন

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন (ভ্যারিয়েন্ট) শনাক্ত হওয়ার খবর দিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এতদিন শঙ্কা থাকলেও আজ শনিবার শঙ্কাকে সত্যিতে রূপান্তরিত করে ভারতীয় ধরনটি বাংলাদেশে শনাক্ত হওয়ার খবর দিয়েছে সরকারি এই সংস্থাটি। আইইডিসিআর জানিয়েছে, দেশে এখন পর্যন্ত চারজন রোগীর শরীরে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন শনাক্ত হওয়া গেছে।  যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে ছয়জনের শরীরে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ধরন শনাক্ত হয়েছে।

করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত হওয়ার পর দেশে স্বাভাবিকভাবেই দেখা দিয়েছে নতুন শঙ্কা। যেখানে পুরোনো ধরন মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ, সেখানে নতুন ধরন তৈরি করেছে নতুন শঙ্কা। গবেষকেরা এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি, ভাইরাসের ভারতীয় ওই ধরনটি আরও বেশি সংক্রামক কি না। এমনকি করোনার যে টিকাগুলো দেশে দেশে প্রয়োগ করা হচ্ছে, সেগুলো এই ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর কি না, তাও এখনো স্পষ্ট নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের লুজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির ভাইরাস বিশেষজ্ঞ জেরেমি কামিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, ভারতে করোনাভাইরাসের যে পরিবর্তনগুলো ঘটেছে, তার মধ্যে দুটি পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে একটি পরিবর্তনের পর ভাইরাসটির প্রকৃতি দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে তৈরি হওয়া করোনাভাইরাসের ধরনের সঙ্গে মিলে যায়। সম্ভবত এই ধরনটি শরীরে করোনার বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডিকে ফাঁকি দিতে সক্ষম।

যে কারণে ভাইরাসের ভারতীয় ধরন সম্পর্কে এত কম তথ্য

বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরনের বিষয়ে এখন পর্যন্ত পাওয়া বেশির ভাগ তথ্যই অসম্পূর্ণ। ভাইরাসটির খুব কম নমুনাই তারা হাতে পেয়েছেন। ভারত থেকে পাওয়া গেছে ২৯৮টি নমুনা। আর বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে পাওয়া গেছে ৬৫৬টি নমুনা। পক্ষান্তরে যুক্তরাজ্যের ধরনটির নমুনা পাওয়া গেছে ৩ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি।

ভাইরাস বিশেষজ্ঞ জেরেমি কামিল বলেন, ভারতে ভাইরাসের নতুন ধরনটি শনাক্তের পর বিশ্বজুড়ে এটি ৪০০টিরও কম নমুনা শনাক্ত হয়। এ কারণে গবেষকেরা নতুন এই ধরন নিয়ে সেভাবে কাজই করতে পারছেন না বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।

এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত বিধ্বস্ত ভারত। দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুতে দেশটি একের পর এক রেকর্ড গড়ে যাচ্ছে। এতে দৃশ্যত দেশটির চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অক্সিজেনের অভাবে বহু করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যেহেতু ভাইরাসের একই ধরন বাংলাদেশেও ঢুকে পড়েছে তাই শঙ্কা দেখা দিয়েছে- ভারতের মতো বাংলাদেশেও ব্যাপক প্রাণহানি ও আক্রান্তের ঘটনা ঘটে কিনা।

 

Comment here