কবে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’? - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

কবে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’?

নিজস্ব প্রতিবেদক,কক্সবাজার : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্ফান দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করছে। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্ফান একই এলাকায় অবস্থান করে শক্তি সঞ্চয় করছে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাত হানার বিষয়ে আবদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তার গতিপথ পর্যবেক্ষণ করে বোঝা যাচ্ছে, ২০ মে এর মধ্যে এটি আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে কক্সবাজারের প্রশাসন। প্রস্তুত রয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র, মুজিব কিল্লা, বিভিন্ন শিক্ষা পতিষ্ঠান, হোটেল-মোটেল, মেডিকেল রেপিড রেসপন্স টিম, সিপিবির স্বেচ্ছাসেবক, রেডক্রিসেন্টের টিম, শুকনো খাবার, পর্যাপ্ত ওষুধসহ সবকিছু।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব, সম্ভাব্য দুর্যোগ পরিস্থিতিতে জরুরি সাড়াদানের লক্ষ্যে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা জুম কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভা শেষে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আমম্ফান মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৭৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র এবং ২৫টি মুজিব কিল্লা। সেই সঙ্গে এখন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ও আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি কক্সবাজার শহরে থাকা চার শতাধিক হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজের বেশকিছু হোটেল-মোটেলও প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য। ’

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘৫৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ২৫টি মুজিব কিল্লায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ৫ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।’

কামাল হোসেন বলেন, ‘যেহেতু এখন করোনা মহামারি আকার ধারণ করেছে, সে বিষয়টি মাথায় রেখে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে নিচু এলাকায় বসবাসকারী মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুকনো খাবার আর পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ রয়েছে।’

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন, ডাক্তার মাহবুবুর রহমান জানান, ৭১টি মেডিকেল টিম, ৮টি রেপিড রেসপন্স টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রয়েছে পর্যাপ্ত ওষুধ। আজ থেকে ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের একটি টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, ঘূর্ণিঝড়ের আগে ও পরে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে রেড ক্রিসেন্ট টিমের সদস্যরা।

কক্সবাজার জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, ‘পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সিপিবির সদস্যদের।’

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, ‘দুর্যোগকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের বেশ কিছু টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

Comment here