কয়লাখনি দুর্নীতি খালেদার আইনজীবী বিদেশে, চার্জ শুনানি পেছালো - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রাজনীতি

কয়লাখনি দুর্নীতি খালেদার আইনজীবী বিদেশে, চার্জ শুনানি পেছালো

আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার ব্যক্তিগত সফরে অস্ট্রেলিয়া অবস্থান করায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় চার্জগঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩ ডিসেম্বর ধার্য করেছে আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আক্তারুজ্জামন নতুন এ তারিখ ঠিক করেন। তবে এদিন এ মামালার আসামি মাইনুল আহসানের পক্ষে তার আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামল অব্যাহতির বিষয়ে শুনানি শেষ করেন। মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তার পক্ষে হাজিরা দেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

একই সঙ্গে চার্জশুনানি পেছানোর আবেদন করে তিনি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার পারিবারিক কাজে অস্ট্রেলিয়া গেছেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে তিনিই অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করবেন। তাই শুনানি পেছানো প্রয়োজন।

শুনানি শেষে আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করেন। মামলায় মোট আসামি ছিল ১৩ জন। জামায়াতে ইসলামীর নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বর্তমানে আসামি ৮ জন।

মামলার অপর ৭ আসামি হলেন, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, একেএম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এসআর ওসমানী, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মইনুল আহসান, বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি ব্যবস্থাপনার নিয়জিত ঠিকাদর সুজু কোল মাইনিং গ্রুপ কনসোটিয়ামের পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন। মামলায় জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ, বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান ভূইয়া এবং সাইফুর রহমান, এমকে আনোয়ার, ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও এম শামসুল ইসলামও আসামি ছিলেন। তারা মারা গেছেন।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সময় ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়।

Comment here