করোনাভাইরাস দূর হতে ঢের দেরি আছে : ফাউচি - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
আন্তর্জাতিক

করোনাভাইরাস দূর হতে ঢের দেরি আছে : ফাউচি

অনলাইন ডেস্ক : বিশ্ব থেকে করোনাভাইরাসের মহামারির বিদায় নিতে ঢের দেরি আছে বলে সতর্ক করেছেন যুক্ররাষ্ট্রের প্রধান সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচি। গতকাল মঙ্গলবার বায়োটেকনোলজি ইনোভেশন অর্গানাইজেশনের আন্তর্জাতিক এক সম্মেলনে রেকর্ড করা এক ভিডিও বার্তায় করোনাভাইরাসকে ‘সবচেয়ে ভয়ানক দুঃস্বপ্ন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।

ইবোলা ও এইডসের চেয়েও করোনাভাইরাস মারাত্মক বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অ্যালার্জি ও সংক্রামক রোগের ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফাউচি। তিনি বলেন, ‘এখন আমরা এমন কিছু দেখছি যা আমার সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন হয়ে এসেছে। চার মাসের ব্যবধানে এটি বিশ্বকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে।’

ফাউচি আরও বলেন, ‘ইবোলা ভীতিজনক ছিল, তবে ইবোলা কখনোই সহজে সংক্রমিত হতে পারে না। ইবোলার প্রাদুর্ভাব সবসময় একেবারেই স্থানীয় হয়।’

তিনি জানান, অনেকেই এইডসকে হুমকি মনে করে না। কারণ এটা নির্ভর করে ‘আপনি কে, আপনি কোথায় আছেন এবং আপনি কোথায় থাকেন’ -এ বিষয়গুলোর ওপর।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, অতীতে সবচেয়ে ভীতিকর একটি সম্ভাব্য রোগের বিষয়ে বলতে বলা হলে তিনি বলতেন, রোগটি হবে নতুন একটি শ্বসনতন্ত্রের সংক্রমণ, যা হয়তো কোনো পশু থেকে মানুষে আসবে এবং যা খুবই উচ্চমাত্রায় ছড়াবে।

এমন কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের মহামারি বিশ্ব অতীতেও দেখেছে। তবে ফাউচি জানান, কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে সবগুলো বৈশিষ্ট্যই একত্রিত হয়েছে। এটি অপ্রত্যাশিত গতিতে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এবং এটি এখনো শেষ হয়নি।’

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগৃহীত উপাত্ত অনুযায়ী, মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার এবং বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছে ৭২ লাখের বেশি মানুষ।

ফাউচি জানান, রোগীদের ওপর কোভিড-১৯ এর দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে এখনো অনেক কিছু জানার বাকি। ভাইরাসটি নিয়ে এখন পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা নেই বলে বিজ্ঞানীরা জানেন না সেরে ওঠা রোগীদের ছয় মাস পর কী হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি সেরে ওঠা বা আংশিক সেরে ওঠার মাত্রা জানি না, সুতরাং আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।’

তিনি জানান, কোভিড-১৯ রোগীদের কারও উপসর্গ নেই আবার কারও তীব্র অসুস্থতা দেখা দিচ্ছে যা মৃত্যুর কারণও হচ্ছে। ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এমনকি কম বয়সীদেরও স্ট্রোক হচ্ছে। আবার শিশুদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থতা দেখা দিচ্ছে।

ফাউচি বলেন, ‘কোথায় এর শেষ হবে? আমরা এখনো এর শুরুতে আছি।’

Comment here