অনলাইন ডেস্ক : ‘শিগগিরই’ কয়েকটি দেশ ও সংস্থা থেকে আরও ৮৫ লাখ ২০ হাজার ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়ার ‘সুখবর’ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান। এর মধ্যে কোভ্যাক্স থেকে আসবে আরও ৩৬ লাখ ২০ হাজার ডোজ। জাপান ২৯ লাখ, চীন ১০ লাখ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১০ লাখ ডোজ দেবে বলেও জানান তিনি।
‘সুখবর’ ঘোষণা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমাদের জেনেভা মিশন জানিয়েছে যে,কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আরও তিন মিলিয়ন (ইতিমধ্যে ২.৫ মিলিয়ন পেয়েছি) মডার্না ভ্যাকসিন পাচ্ছি… শিপমেন্ট রেডি আছে। জাপানিজরা ২.৫ মিলিয়নের পরিবর্তে ২.৯ মিলিয়ন অ্যাস্ট্রাজেনকা ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সের মাধ্যমে দিচ্ছে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘চায়নিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার ১৫ তারিখে তাসকন্দে সাক্ষাৎ হবে এবং চায়নিজ সরকার আরও এক মিনিয়ন সিনোফার্ম ভ্যাকসিন উপহার হিসাবে দেবে। ইইউ থেকে ১০ লাখ এবং কোভ্যাক্সের অধীনে আরও ছয় মিলিয়ন ২০ হাজার টিকা আগস্টে আসবে।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষ দিকে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার জন্য চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। সেই টিকার প্রথম চালান পেয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে গণটিকাদান শুরু হয়। কিন্তু দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ পাঠানোর পর ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলে ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। যারা প্রথম ডোজে কোভিশিল্ড নিয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে সরকার চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়।
গত জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় ‘শিগগিরই’ ১০ লাখ ৮০০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বাংলাদেশ পাচ্ছে। কোভ্যাক্স থেকে ৬ কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এর মধ্যে ফাইজার-বায়োএনকেটের তৈরি ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা এবং মডার্নার তৈরি ২৫ লাখ ডোজ ইতোমধ্যে দেশে এসেছে।
এর বাইরে চীন উপহার হিসেবে সিনোফার্মের ১১ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে এবং এই কোম্পানি থেকে কেনা টিকার একটি চালান দেশে এসেছে।
Comment here