করোনার নমুনা কিট হস্তান্তর, যা বললেন ড. বিজন - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

করোনার নমুনা কিট হস্তান্তর, যা বললেন ড. বিজন

নিজস্ব প্রতিবেদক : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তৈরি করা করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের নমুনা কিট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ১১টায় গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ছয় তলার মেজর হায়দার মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে কিট হস্তান্তর করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা।

কিট হস্তান্তরের পর এক প্রতিক্রিয়ায় গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল বলেন, ‘এন্টিবডি ও এন্টিজেন এ দুটির সমন্বয় করে কিট তৈরি করা হয়েছে। এটি পাঁচ মিনিটের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে করোনা রোগী শনাক্ত করতে সক্ষম।’

অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ কিট উদ্ভাবনের প্রধান গবেষক ড. বিজন কুমার শীল, গবেষণা দলের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকারসহ অন্যান্য গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।

কিট হস্তান্তরের পর এ বিষয়ের নানা দিক নিয়েআমাদের সময়ের সঙ্গে কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘যখন গত বছরের ডিসেম্বরে নতুন করোনাভাইরাস দেখা দিলো তখন তিনি (ড. বিজন) আমাদের বললেন, এটা হলো সার্সের রূপান্তরিত রূপ। এটা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে। উনি এটা বুঝতে পেরেছিলেন। তখন আমরা কেউ চিন্তা করি নাই করোনাভাইরাস এমন হতে পারে। তিনি তখন বলেছিলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আমাদের গবেষণা করা দরকার। উনি গত দুই মাসে করোনার গবেষণা পারফেক্ট করেন।’

ড. বিজন ও তার দলের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে ৩৫০ টাকায় করোনা শনাক্ত সম্ভব উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সরকার যদি এর ওপর ট্যাক্স-ভ্যাট আরোপ না করে তাহলে আমরা ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বাজারজাত করতে পারব। তবে সবকিছু নির্ভর করছে সরকারের মর্জির ওপরে। ডেঙ্গু টেস্টের যেমন মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল, করোনা টেস্টেরও যদি মূল্য নির্ধারণ করে দেয় তাহলে জনগণ স্বল্প মূল্যে সেবা পাবে। মূল্য নির্ধারণ না করে দিলে যে যার যার মতো টাকা নেবে।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আরও বলেন, ‘আমরা মাসে এক লাখ কিট সরবরাহ করতে পারব। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে প্রাথমিকভাবে এই মাসে ১০ হাজার কিট সরবরাহ করতে পারব। আরও একটি খুশির সংবাদ হলো- আমেরিকার একটি সংস্থা আমাদের জানিয়েছে তারাও আমাদের উদ্ভাবিত এই “র‌্যাপিড ডট ব্লট” উৎপাদন করবে। এ কথা তারা ড. বিজনকে জানিয়েছে।’

তবে তবে কিটগুলো হস্তান্তরের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাদের কেউ আসেননি।

ওষুধ প্রশাসন বলছে, গণস্বাস্থ্যকে এমন অনুষ্ঠান করতে মানা করেছিল তারা। কিট উদ্ভাবনের স্পেসিফিকেশন উল্লেখ করে নিবন্ধন আবেদন করতে বলেছিল ওষুধ প্রশাসন। এ বিষয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা কেন যাব? এটা তো এপ্রুভড কোনো প্রডাক্ট না। তারা আবেদন করবে। তারপর নিবন্ধনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।’

Comment here