নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে শুরু থেকেই মাঠে কাজ করে চলছে পুলিশ। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে এ পর্যন্ত এক হাজার ১৫৩ জন পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। অবশ্য, এত বেশি পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা এক ভিডিও বার্তায় এর কারণগুলো ব্যাখ্যা করেছেন।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘পুলিশিং একটি ইউনিক প্রফেশন। এই প্রফেশনে থেকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেশার যে সুযোগ রয়েছে, তা অন্য কোনো প্রফেশনে নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই দিকটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কোয়ারেন্টিন এবং আইসোলেশন নিশ্চিত করতে পুলিশকে মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হয়েছে। এগুলো নিশ্চিতে মানুষের খুব কাছে যেতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হলে তা পুলিশকেই করতে হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যানবাহনের একটু সংকট রয়েছে, তাই পুলিশের গাড়িতে করে রোগীদের পৌঁছে দিতে হচ্ছে। এমনকি তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতেও পুলিশ কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসামিকে গ্রেপ্তার করতে খুব কাছ থেকে তাকে স্পর্শ করতে হয়। তা ছাড়া ধরা সম্ভব নয়। করোনায় কেউ মারা গেলে তার সৎকার, জানাজা, দাফনে পুলিশকে যেতে হচ্ছে। কিন্তু তাৎক্ষণিক নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।’
পুলিশ সদর দপ্তরের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমাদের কোনো সদস্য যখন আক্রান্ত হচ্ছেন, তখন অন্য সদস্যের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। ‘ফোর্স’-যারা ব্যারাকে থাকেন, সেখানে স্বল্প স্পেসে থাকতে হচ্ছে। একসঙ্গে থাকা তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চেষ্টা করা হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের নিরাপদ দূরুত্বে বিছানাসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু দেওয়ার। তারপরও পেশাগত বৈচিত্র্যের কারণে বাড়তি কিছু ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। এসব কারণে পুলিশের করোনা সংক্রমণের হার বেশি।’
‘পুলিশ সদস্যরা দেশ ও মানুষকে ভালোবেসে ঝুঁকি নিচ্ছেন। সুরক্ষাসামগ্রী পেতে বিলম্ব হলেও তারা ঘরে বসে থাকছেন না,’ বলেন এআইজি সোহেল রানা।
Comment here