প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। অন্য ধর্মের প্রতি আমাদের সহনশীল আচরণ করতে হবে। ইসলাম ধর্ম আমাদের সেই শিক্ষাই দেয়। কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া যাবে না।’
আজ সোমবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে নতুন করে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি বিশ্বাস করি যে এই বিশ্ব আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সৃষ্টি করেছেন, তার হুকুম ছাড়া গাছের একটা পাতাও নড়েন। তাই এখানে অন্যান্য ধর্মের যা কিছুই আছে সবই আল্লাহরই সৃষ্টি। তিনিই ভালো মন্দের বিচার করেন। কাজেই আমাদের এই ভূ-খণ্ডে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ যারাই বসবাস করেন তাদের সকলেরই সমান অধিকার রয়েছে যারা যার ধর্ম পালন করার। তাই অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া মোটেও সমীচীন হবে না।
আজ প্রধানমন্ত্রী নতুন করে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
এর মধ্য দিয়ে চতুর্থ পর্যায়ে মডেল মসজিদ উদ্বোধন হলো। ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদ দেশের প্রতিটি জেলায় ও উপজেলায় স্থাপন করতে নয় হাজার ৪৩৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প ২০১৭ সালে গ্রহণ করে সরকার।
‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক (২য় সংশোধিত) প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। এর আগে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রথম পর্যায়ে, ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায় এবং ২০২৩ সালের ১৬ মার্চে তৃতীয় পর্যায়ে ৫০টি করে মোট ১৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, প্রতিটি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ৪৩ শতাংশ জমির ওপর তিন ক্যাটাগরিতে নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে জেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে চারতলা, উপজেলা পর্যায়ে তিনতলা এবং উপকূলীয় এলাকায় চারতলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এ-ক্যাটাগরিতে ৬৪টি জেলা শহর ও ৩টি সিটি করপোরেশনে ৫টিসহ মোট ৬৯টি চারতলাবিশিষ্ট মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। বি-ক্যাটাগরিতে উপজেলা পর্যায়ে ৪৭৯টি (নবগঠিত ৪টি উপজেলাসহ) এবং সি-ক্যাটাগরিতে উপকূলীয় এলাকায় চারতলাবিশিষ্ট (নিচতলা ফাঁকা থাকবে) ১৬টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।
চারতলা বিশিষ্ট প্রতিটি মসজিদে একসঙ্গে এক হাজার ২০০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। অন্যদিকে তিনতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদে একত্রে ৯০০ জন মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে।
Comment here