কুশীলবের খোঁজে হচ্ছে কমিশন - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

কুশীলবের খোঁজে হচ্ছে কমিশন

ইউসুফ আরেফিন : পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অর্থায়ন বাতিল করেছিল বিশ্বব্যাংক। তাদের দাবির মুখে তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছিল। জেলে যেতে হয়েছিল তৎকালীন সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে। এর পরও অর্থায়ন করেনি বিশ্বব্যাংক। পরে প্রধানমন্ত্রী নিজেদের অর্থেই পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন এবং বহুল কাক্সিক্ষত সেতুটি নির্মাণ করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেন। এবার বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি বাতিলের পেছনে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ‘কুশীলবদের’ খুঁজে বের করতে শিগগিরই কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। কমিশনের প্রধান হবেন একজন কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। গত মঙ্গলবার কমিশন গঠনের সারসংক্ষেপ তৈরি করে তা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

বিশ^ব্যাংকের এই সরে যাওয়ার পেছনে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্পৃক্ততার অভিযোগ করে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। যদিও তিনি তা অস্বীকার করে আসছেন। বিএনপিকেও বিশ্বব্যাংকের সরে যাওয়ার পেছনে অন্যতম কুশীলব মনে করে আওয়ামী লীগ। বিএনপি এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করেছে।

গত ২৮ জুন পদ্মা সেতু নির্মাণের বিরুদ্ধে যারা দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন তাদের খুঁজে বের করতে সরকারকে কমিশন গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ ওই নির্দেশ দেন। এর দুই মাস পর গত মঙ্গলবার কমিশন গঠনের রূপরেখা প্রস্তুত করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

 

 

সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, গত ২৮ আগস্ট হাইকোর্টের আদেশের কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পৌঁছায়। আদেশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে কমিশন অব ইনকোয়ারি গঠন এবং দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য রায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে আরও বলা হয়, কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬-এর ধারা ৩ এর অধীনে সরকার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কমিশন অব ইনকোয়ারি গঠন করতে পারে। এ বিষয়ে সেতু বিভাগ এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত নেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেতু বিভাগ কমিশন গঠনের কার্যক্রম তাদের বিভাগ থেকে গ্রহণ করা সমীচীন হবে না বলে মত দেয়। তদন্তের বিষয় ও প্রকৃতি বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ এক বা একাধিক সদস্য নিয়োগ করা যেতে পারে বলে মত দেয় আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগ। কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬-এর ৪ ও ৫ ধারা অনুযায়ী কমিশন একটি দেওয়ানি আদালত হিসেবে গণ্য হবে এবং দেওয়ানি আদালতের মতো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।

এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ফোন করে পাওয়া যায়নি।

 

Comment here