খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে সরকারের সাড়া পাইনি : ফখরুল - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রাজনীতি

খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে সরকারের সাড়া পাইনি : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : বার বার দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাননি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শনিবার খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সারা দেশে বিক্ষোভ মিছি​লের কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি। ঢাকায় কেন্দ্রীয় কমিটি বিক্ষোভ না করতে পেরে রাজধানীর নয়াপল্টনের সামনে প্রতিবাদ মিছিল করে। পরে এক সমাবেশে আয়োজন করে এমন মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব। ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রী অত্যন্ত অসুস্থ। আমরা বার বার তার মুক্তির দাবি করেছি, জামিন চেয়েছি এবং মুক্তির মধ্য দিয়ে তার চিকিৎসার দাবি জানিয়েছি। আমরা তাদের (সরকার) কাছ থেকে কোনো রকমের সাড়া পাইনি।’

এ সময় মানবিক কারণে অতি দ্রুত খালেদা জিয়াকে মুক্তির দাবি জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার একটা দখলদারী সরকার, বেআইনি সরকার। জনগণের কোনো ম্যান্ডেট তাদের নেই। ম্যান্ডেট ছাড়াই তারা জোর করে ক্ষমতায় একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করার জন্য সমস্ত নির্যাতনের পথ বেঁছে নিয়েছে।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও  বলেন, ‘আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মীদের তারা গুম করেছে, খুন করেছে, নির্যাতন করেছে। আমাদের প্রায় ৩৫ লক্ষ নেতা-কর্মীকে আসামি করেছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন। তাকে আজকে ২ বছর ৭ দিন ধরে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে।’

এ সময় বিএনপি মহাসচিব নেতা-কর্মীদের সমাবেশে শেষে শান্তিপূর্ণভাবে ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা কোনো সুযোগ দিতে চাই না। দয়া করে এখান থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ঘরে যাবেন।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ড. আব্দুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় উপস্থিত থাকলেও তিনি কোনো বক্তব্য দেননি। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শামা ওবায়েদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সুপু, আমিনুল হক, শিরিন সুলতানা, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী, শামীমুর রহমান শামীম, শহীদুল ইসলাম বাবুল, দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন, খন্দকার আবু আশফাক, সাখাওয়াত হোসেন খান, মজিবুর রহমান, সদ্য সমাপ্ত ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন প্রমুখ।

Comment here