খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে : ফখরুল - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাস আলমগীর। তাকে মুক্তি দিয়ে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর দাবিতে আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে ৯ দিনে ৩২ জেলায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। এ সব কর্মসূচিতে দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির নেতারা অংশ নেবেন।

আজ বুধবার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে বিএনপি   মহাসচিব বলেন, ‘ম্যাডামের শরীর আবারও একটু খারাপ হয়েছে। গতকাল থেকে তার হিমোগ্লোবিন, ডব্লিউবিসিসহ আরও কিছু প্যারামিটারগুলো নিচের দিকে গেছে। হিমোগ্লোবিন কমের দিকে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর  দাবিতে আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩২ জেলায় সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ জন্য জাতীয় পর্যায়ে কয়েকটি টিম গঠন করেছি।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, প্রথম দিনে ঢাকা বিভাগে টাঙ্গাইল, খুলনা বিভাগের যশোর, রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, রাজশাহী বিভাগের বগুড়া,সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ ও চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় সমাবেশ হবে। এসব সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা সমন্বয় করবেন। ২২,২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর বিভিন্ন বিভাগের জেলা সদরে প্রতিদিন ৬টি এবং ২৮ ও ৩০ ডিসেম্বর প্রতিদিন ৭টি করে সমাবেশ হবে।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবিতে ইতিমধ্যে সারা দেশে মানববন্ধন, সমাবেশ, গণঅনশন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্মারক লিপি প্রদানের কর্মসূচি করেছে বিএনপি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, জেলা সমাবেশে ২২ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, হবিগঞ্জে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন,যশোরে মির্জা আব্বাস, বগুড়ায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়,দিনাজপুরে নজরুল ইসলাম খান,  ব্রাহ্মণবাড়িয়া আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ২৪ ডিসেম্বর গাজীপুরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জয়পুরহাটে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জামালপুরে নজরুল ইসলাম খান, নোয়াখালীতে আব্দুল্লাহ আল নোমান ভোলায় মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রম গাইবান্ধায় শামছুজ্জামান দুদু, ২৬ ডিসেম্বর চাঁদপুরে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নরসিংদীতে ড. আব্দুল মঈন খান,লালমনিরহাট ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ঝিনাইদহে নিতাই রায় চৌধুরী, পাবনায় শওকত মাহমুদ,

মুন্সিগঞ্জে অ্যাভোকেট রুহুল কবীর রিজভী, ২৮ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ফেনী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নওগাঁয় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সুনামগঞ্জ আব্দুল্লাহ আল নোমান, নারায়ণগঞ্জ মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীরবিক্রম), মেহেরপুরে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন,পটুয়াখালী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব:) আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজারে নজরুল ইসলাম খান,কিশোরগঞ্জে মির্জা আব্বাস, ঢাকা জেলায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঠাকুরগাঁও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,সিরাজগঞ্জ  ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু,লক্ষ্মীপুর ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, বীর উত্তম,খাগড়াছড়ি শামছুজ্জামান দুদু টিম প্রধান হিসেবে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন।

বিভাগীয় সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক টিমের সদস্য হিসেবে সমাবেশের সমন্বয় করবেন। সংশ্লিষ্ট জেলার জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ সমাবেশকে সফল করতে জেলা নেতৃবৃন্দকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন। প্রতিটি টিমে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের শীর্ষ নেতৃত্বের একজন প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।

 

Comment here