গবেষণা করলেই চলবে না, ফলাফলটাও জানতে চাই : প্রধানমন্ত্রী - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
জাতীয়

গবেষণা করলেই চলবে না, ফলাফলটাও জানতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে কীভাবে তা নিশ্চিত করতে গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘গবেষণাটা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে শুধু গবেষণা করলেই চলবে না, গবেষণার ফলাফল কী সেটাও জানতে চাই। সেটা (গবেষণা) যে দেশের জন্য কাজে লাগছে তা নিশ্চিত হতে হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান ২০২০ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

বাংলাদেশের উন্নয়নে গবেষণার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে স্ট্রবেরি বাংলাদেশে উৎপাদন করা হচ্ছে। আজকে খাদ্যে যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ, সেটাও কিন্তু গবেষণার ফসল। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পাশাপাশি এখন পুষ্টির নিশ্চয়তা নিয়ে কাজ চলছে। মাছ, সবজি উৎপাদনেও আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। এসবই হয়েছে গবেষণার জন্য।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। ১৯৯৬ সালে সরকারে এসে দেখলাম- কেউ বিজ্ঞান শিক্ষা নিতেই চায় না। কম্পিউটার কেউ ছুঁয়েও দেখতো না। আমরা উদ্যোগ নিলাম, ট্যাক্স তুলে দিলাম, এখন সবার হাতে হাতে ল্যাপটপ। প্রযুক্তির মাধ্যমে জীবন অনেক সহজ হয়ে যায়। আমাদের যতটুকু সম্পদ আছে, সেটা দিয়েই সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।’

এ সময় এসএসসি পর্যন্ত শিক্ষায় কোনো ভাগ থাকা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আইয়ুব খানের সময় ক্লাস নাইন থেকেই বিজ্ঞান, মানবিক প্রভৃতি বিষয় আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসএসসি পর্যন্ত সবার এক শিক্ষা থাকা ভালো, কোনো ভাগ থাকবে না, কিছু মৌলিক বিষয়ে সবার শিক্ষা থাকা ভালো, এরপর বিশেষায়িত শিক্ষার জন্য বিভাগ আলাদা হওয়া উচিত।’

শিক্ষাক্ষেত্রে আরও সুযোগ বৃদ্ধি করা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘শিক্ষকদের সম্মান করতে হবে। মা-বাবার কথা শুনতে হবে। পড়ালেখা করতে হবে। খেলাধুলাও করতে হবে। নিজের দেশকে ভালোবাসতে হবে। আজকের শিশুরা আগামী দিনে যেন সুন্দর একটা জীবন পায়, কেউ যেন বঞ্চিত না হয়, শহর-গ্রাম সবখানেই যেন উন্নয়ন হয়। উন্নয়নের সব পরিকল্পনা গ্রামকে ঘিরেই করে যাচ্ছি। পুরো দেশটা যেন সমানভাবে উন্নত হয় সেসব ভেবেই কাজ করছি।’

এবারের অর্থবছরে ৩ হাজার ২০০ জনকে উচ্চশিক্ষার জন্য ১৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ফেলোশিপ প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা ‘‘প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ট্রাস্ট ফান্ড’’ গঠন করেছি। সেখান থেকেও উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার জন্য অর্থ দিয়ে থাকি। শিক্ষার জন্য সহায়তা অব্যাহত থাকবে।’

Comment here