গাজীপুরে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালিত হচ্ছে মহান মে দিবস - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

গাজীপুরে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালিত হচ্ছে মহান মে দিবস

গাজীপুর থেকে মনির হোসেন : গাজীপুর ২১ নং ওয়ার্ডের পাকার মাথা, ইমারত নির্মাণ যুব শ্রমিক ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য এক র‌্যালি হয়। র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন ইমারত নির্মাণ যুব শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন , প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম (আমিন), মোঃ রুহুল আমিন ,সাবেক উপ কৃষি শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,সাবেক সহ-সভাপতি,গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগ,মোঃ রাজ্জাক সরকার কৃষক লীগ, আরো উপস্থিত ইমারত নির্মাণ যুব শ্রমিক ইউনিয়ন সংগঠনের সহ-সভাপতি মাজাহারুল ইসলাম, সেকান্দার হোসেন,মোঃ রাসেল ইসলাম সাংগঠনিক সম্পাদক।

র‌্যালিটি জোলার পাড় বাজার থেকে কাউলতিয়া হয়ে পাকার মাথায় তাদের, ইমারত নির্মাণ যুব শ্রমিক ইউনিয়ন সামনে এসে শেষ হয়, শ্রমিকদের নিয়ে প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকদের দিকনির্দেশনা মূলক কথা বলেন। আজ সরকারি ছুটির দিন,সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠন দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করছে, মহান মে দিবস শ্রমিকের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে অধিকার আদায়ের গৌরবময় দিন। সারাবিশ্বেই দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হয়। দিবসটি প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে শ্রমিকদের রক্তঝরা আত্মত্যাগের ইতিহাস। শ্রমিকদের শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটার স্বপ্ন দেখার দিন। বিশ্বজুড়ে শ্রমজীবী মানুষের অনুপ্রেরণার দিন। ১৩৩ বছর আগে ১৮৮৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা শ্রমের উপযুক্ত দাম এবং দৈনিক অনধিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নামে। সে সময় আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ।

এতে হতাহত হন অনেক শ্রমিক। তাঁদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দৈনিক কাজের সময় আট ঘণ্টা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর পর থেকে বিশ্বজুড়ে দিনটি ‘মে দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। মে দিবসের প্রধান দাবি আট ঘণ্টা কাজ। ১৯১৯ সালের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও কনভেনশন অনুসারে বিশ্বের প্রায় সব দেশে আইন করে তা কার্যকর করে। বাংলাদেশও আইএলওর এই কনভেনশন অনুসমর্থন করে। কিন্তু বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে গেলেও শ্রমিক অধিকার এখনো অধরা। প্রবৃদ্ধি বাড়লেও শ্রমিকের আয়ের অংশ তারা পাচ্ছে না। ফলে বাড়ছে বৈষম্য। সবাইকে অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হয়। ১৩৩ বছর আগের আট কর্মঘণ্টার দাবি তাদের কাছে এখনো স্বপ্নের মতো।

১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে শিকাগোর শ্রমিকদের জীবনদান এবং আন্দোলনের স্বীকৃতি দিতে পহেলা মে ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর পরের বছর ১৮৯০ সাল থেকে পহেলা মে শ্রমিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

Comment here