গোয়াইনঘাটে দেশের সবচে ব্যস্ততম ও সুন্দর পর্যটনস্পট - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সমগ্র বাংলাসিলেট

গোয়াইনঘাটে দেশের সবচে ব্যস্ততম ও সুন্দর পর্যটনস্পট

আবু তালহা রায়হান,গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি : প্রকৃতির অকৃপণ রূপ লাবণে ঘেরা গোয়াইনঘাটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। বর্ষার বৃষ্টিতে পাহাড়-টিলা, নদী আর চা-বাগানে এখন সবুজের হাত ছানি। নয়নাভিরাম এসব সৌন্দর্য দেখতে ঈদ পরবর্তী সময়ে পর্যটকরা ছুটে আসেন প্রকৃতি কন্যা জাফলং, দেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুল, প্রকৃতির অপ্সরা খ্যাত বিছনাকান্দি, অপার সৌন্দর্যমন্ডিত গ্রাম পান্তুমাই, জাফলংয়ের মায়াবী ঝর্ণাধায়। যেখানে পর্যটকরা মুগ্ধ হন, প্রেমে পড়েন শীতল প্রকৃতির এই লীলাভূমির। এখানকার নৈসর্গিক প্রাকৃতিক শোভা অতি সহজে মুগ্ধ করে যে কাউকে। বিশেষ করে ঈদ পরবর্তী সময়ে প্রায় কয়েক লক্ষাধিক পর্যটকের পদচারণয় মুখর হয়ে ওঠে এসব পর্যটন কেন্দ্রগুলো।

তাই ঈদকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের বরণ করতে আবাসিক হোটেল-মোটেল রেস্ট হাউজ ও রেস্তোরাঁগুলোতে নেওয়া হচ্ছে আগাম প্রস্তুতি। পর্যটকদের নজর কারতে ভিন্ন আঙ্গিতে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন কসমেটিস ও উপহার সামগ্রী দোকানগুলোতেও।

গোয়াইনঘাটে চারটি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। রয়েছে আলাদা সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্য। এর মাঝে সবচেয়ে বেশি পর্যটক ভিড় করেন প্রকৃতি কন্যা জাফলং ও প্রকৃতির অপ্সরা খ্যাত বিছনাকান্দিতে। জাফলংয়ের মায়াবী ঝর্ণা, পিয়াইন নদীতে স্বচ্ছ জলের স্রোতের ধারা, ওপারে নদীর ওপর ঝুলন্ত ব্রিজ সমতল ভূমিতে জাফলং চা-বাগান, তামাবিল জিরো পয়েন্ট ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের খাসিয়া পল্লি এসবের সব কিছুই খুব সহজেই আকৃষ্ট করে আগত পর্যটকদের।

এ ছাড়াও বিজিবির সংগ্রাম সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকায় রয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড নির্মিত দৃষ্টিনন্দন সিঁড়ি ও জাফলং চা-বাগান সংলগ্ন এলাকায় পিয়াইন নদীর ওপর জাফলং সেতু। যে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে একই সঙ্গে দেখা যায় সমতল ভূমির চা বাগান, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ জলের স্রোতের ধারা ও ভারতের মেঘালয়ের সবুজ পাহাড়। অন্যদিকে বিছানাকান্দিতে রয়েছে জল আর পাথরের মিতালিতে জল-পাথরের বিছানা। যেখানে জলকেলি ও হৈ-হুল্লোড়ে মেতে ওঠেন পর্যটকরা। তবে অনেক সময় আনন্দ ভ্রমণে আসা পর্যটকদের অসচেতনতায় পানিতে ডুবে মৃত্যুর কারণ হয় ওঠে।

তখন আনন্দ ভ্রমণ হয় বিষাদে। বিষয়টি লক্ষ্য রেখে জাফলং ও বিছনাকান্দিও আকর্ষণীয় স্থানগুলোতে পর্যটকবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি ও আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি পর্যটন কেন্দ্রের বিভিন্ন স্থানে সর্তকতামূলক নির্দেশনা সংবলিত সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয় এলাকার জনপ্রতিনিধি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদেরও এ বিষয়ে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি তারা যেন পর্যটদের নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন থাকেন।

এ বিষয়ে জাফলং ট্যুরিষ্ট পুলিশের ওসি রতন শেখ জানান, ঈদ উপলক্ষে আগত পর্যটকরা যাতে নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারেন সে লক্ষে ট্যুরিষ্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন- পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে দেশ ও বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখোরিত হবে গোয়াইনঘাটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। পর্যটকদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও সহযোগিতা প্রদানে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

Comment here