চবিতে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ, বাস-শাটল ট্রেন বন্ধ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

চবিতে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ, বাস-শাটল ট্রেন বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবাণিজ্য ও অছাত্রদের রাখার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে বিক্ষোভ করছে ছাত্রলীগের একাংশ। এর ফলে আজ সোমবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন ও শিক্ষক বাস বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষাও ইতোমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ছাত্রলীগের কমিটির পদবঞ্চিতরা মূল ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করছেন। শাটলের লোকোমাস্টার না থাকায় ট্রেন আসছে না। তাকে খুব সম্ভবত আটকে রেখেছে ছাত্রলীগের কেউ।

এ ছাড়া মূল ফটক বন্ধ থাকায় শিক্ষক বাস শহরে যেতে পারেনি। তাই শিক্ষকরাও ক্যাম্পাসে আসতে পারছেন না বলে জানান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর।

এর আগে, গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৩৭৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এ কমিটির অনুমোদন দেন। এর আগে, ২০১৯ সালে ১৪ জুলাই রেজাউল হককে সভাপতি ও ইকবাল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

রোববারের ঘোষিত কমিটিতে পদবাণিজ্য ও অছাত্রদের রাখার অভিযোগে এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন শাখা ছাত্রলীগের উপপক্ষ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ারের একাংশের নেতাকর্মীরা। এ সময় প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা ‘অবৈধ কমিটি, মানি না মানব না’ ও ‘টাকার বিনিময়ে কমিটি মানি না মানব না’ বলে স্লোগান দেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শায়ন দাশ গুপ্ত বলেন, যারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে শুরু থেকে জড়িত ছিলেন তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে এ কমিটিতে বাহিরের অনেকেই পদ পেয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হককে একাধিকবার ফোন করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি৷

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতি দুটি পক্ষে বিভক্ত৷ এক পক্ষ সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ও আরেকটি পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। এই দুটি পক্ষের আবার ১১টি উপপক্ষ আছে৷

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন—সহসভাপতি আল-আমিন রিমন, নাছির উদ্দীন সুমন, প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয়, নাজমুল হাসান, রকিবুল হাসান, প্রীতম কর, মুজিবুর রহমান, শায়ন দাশগুপ্ত, আবু বকর তোহা, মুহাম্মদ আবদুল মবিন, মইনুল ইসলাম রাসেল, মির্জা খবির সাদাফ।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রাজু মুন্সি, আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান, সাইদুল ইসলাম, মো. ইলিয়াস, শামসুজ্জামান চৌধুরী, আবু সাইদ মারজান, মারুফ ইসলাম, আরমানুল হক, আহসান হাবীব, রানা খান, শামীমা সীমা।

এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ফাহিম হোসেন, ফজলে হোসেন, আসাদুজ্জামান আসাদ, আরিফুল ইসলাম, আইয়ুব আলী, সৌমেন দত্ত, প্রচার সম্পাদক পদে আশরাফ খান, দপ্তর সম্পাদক এহসান আহমেদ প্রত্যয়, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অমিত মাহমুদ রাফি, সমাজসেবা সম্পাদক মিনহাজুল ঢালী ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সৌরভ শীল।

 

Comment here