জাবি আন্দোলনকারীদের বাড়িতে পুলিশের ‘হয়রানির’ অভিযোগ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ঢাকাসমগ্র বাংলা

জাবি আন্দোলনকারীদের বাড়িতে পুলিশের ‘হয়রানির’ অভিযোগ

জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগ দাবিতে চলমান আন্দোলনে অংশ নেওয়া অনেকের গ্রামের বাড়িতে পুলিশি হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া অন্তত সাতজনের গ্রামের বাড়িতে গিয়েছে পুলিশ। সেখানে তাদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়েছে তারা। পাশপাশি হুমকিও দেওয়া হয়েছে আন্দোলনকারীদের পরিবারগুলোকে।

এখন পর্যন্ত যাদের বাড়িতে পুলিশ গিয়ে হয়রানি করেছে, তারা হলেন, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিক, দপ্তর সম্পাদক হাসান জামিল, কার্যকরি সদস্য রাকিবুল রনি, ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক সুদিপ্ত দে, ছাত্রফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন রহমান, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সহসভাপতি মুসফিক উস সালেহীন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখার আহ্বায়ক শাকিলউজ্জামান।

এদের সবার বাড়িতে পুলিশ যাওয়ার বিষয়টি আমাদের সময়কে নিশ্চিত করেছেন ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয়।ads

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখার আহ্বায়ক শাকিলউজ্জামান দৈনিক মুক্ত আওয়াজকে বলেন, ‘আমার বাড়িতে ডিএসবির লোক গিয়েছে। তারা আন্দোলন না করার জন্য বলছে। এছাড়া এলাকার চেয়ারম্যানের মাধ্যমে থানার ওসি আমাকে আন্দোলন না করার বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।’ আন্দোলন করলে যেকোনো সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে, এমন হুমকিও পুলিশ দিয়েছে বলে জানান শাকিল।

ছাত্রফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন রহমান আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমার বাড়িসহ আমার দাদার বাড়ি ও নানার বাড়িতে পুলিশ গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছে। এছাড়া আমার বাবাকে থানার ওসি ডেকে নিয়ে আমার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন।’

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারের মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন এ বিষয়ে বলেন, ‘এভাবে কারও বাসা পুলিশ যেতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ইন্ধন ছাড়া এমন হতে পারে না। চলমান আন্দোলনকে দমাতে এ ধরনের অপকৌশল হাতে নেওয়া হয়েছে।’

এ ব্যাপারে কথা বলতে জাবি প্রক্টর সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পরও আন্দোলনকারীরা আইন অমান্য করে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে।তাদের গ্রামের বাড়িতে কী হচ্ছে, এ ব্যাপারে আমরা অবগত না।’

Comment here