জিংকের সমন্বয়ে ভিটামিন সিতে ডেল্টা প্রতিরোধ সম্ভব - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

জিংকের সমন্বয়ে ভিটামিন সিতে ডেল্টা প্রতিরোধ সম্ভব

নিজস্ব প্রতিবেদক : জিংকের সমন্বয়ে তৈরি ভিটামিন সি গ্রহণে করোনার ডেল্টা ধরনকে প্রতিরোধ সম্ভব বলে দাবি করেছেন অণুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। এ জন্য সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এ ধরনের ভিটামিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে অনুমোদন দিতে প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

গতকাল শনিবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ড. বিজন কুমার তার এই মতামত তুলে ধরেন। গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লায়লা পারভীন বানুর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সেমিনারে ভার্চুয়ালি অংশ নেন বিএসএমএমইউ সাবেক উপাচার্য ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক একে আজাদ চৌধুরী, পিএইচসির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক জাকির হোসেন, বিএসএমএমইউর ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সায়েদুর রহমান, আইইডিসিআর উপদেষ্টা ডা. মোস্তফা হোসেন, জাতীয় স্বাস্থ্য বাতায়নের ডা. নিজাম উদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. বিজন কুমার বলেন, করোনার ডেল্টা ধরনের সঙ্গে ফ্লু ভাইরাসের যথেষ্ট মিল রয়েছে এবং এটি খুব দ্রত সময়ের মধ্যে ছড়ায়। ফলে পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে বাকি সবাই আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ভাইরাসের ভয়াবহতা রোধে কেউ একজন আক্রান্ত হলে তার নিকটজন সবাইকে পরীক্ষা করতে হবে। হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় অবশ্যই কাপড় বা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত মাস্ক পরিধান এবং ভ্যাকসিন গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। আক্রান্ত রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তবে ডেল্টা ধরনে আক্রান্তদের চিকিৎসার মতো ওষুধ বিশ্ববাজারে আছে। এ ছাড়া জিংকের সমন্বয়ে তৈরি ভিটামিন সি গ্রহণে ডেল্টা প্রতিরোধ সম্ভব।

ডেল্টা ধরনের ভয়াবহতার জন্য করোনার অন্যান্য মিউটিশনের (পর্যায়ক্রমে রূপান্তর) সঙ্গে টি-১৯ আর মিউটিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ কারণে ভাইরাসটি শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগে ঠিক ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতো ছড়ানোর সুয়োগ পাচ্ছে বলে দাবি করেন ড. বিজন কুমার শীল।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশে করোনার টিকা তৈরি করার জন্য আমি আগেও প্রস্তাব করেছি, আবারও করছি। অধ্যাপক নজরুল ইসলাম আছেন, অধ্যাপক আজাদ আছেন, বিজন কুমার শীল আছেন। আরও যারা দু-চারজন আছেন, তাদের নিয়ে টিকা তৈরি হবে। বক্তৃতা না দিয়ে দ্রুত প্রদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এই একটা কাজ করলেও প্রধানমন্ত্রী স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, একটা টিকা তৈরি করতে আধা ডলারের বেশি খরচ হয় না। তার জন্য ন্যূনতম ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। দেশে যারা ব্যবসায়ী আছেন, তারা ইচ্ছা করলে সাত দিনের মধ্যে ৫০ কোটি টাকা জোগাড় করে দিতে পারেন। টার্গেট হওয়া উচিত ছয় মাসের মধ্যে আমাদের নিজস্ব টিকা তৈরি করা। কিউবা, ইরান যেমন টিকা তৈরি করেছে, তেমনি বাংলাদেশ যদি চায় তা হলে রাশিয়া আমাদের সহযোগিতা করবে।

 

Comment here