টাঙ্গাইলে যমুনার পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনো বিভিন্ন এলাকার বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।
রাস্তাঘাট, পুকুরের মাছসহ বিস্তীর্ণ এলাকার জমির ফসল তলিয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে। কোনো প্রকার ত্রাণসহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ বানভাসি মানুষের।
চারদিকে থই থই করছে পানি, রাস্তাঘাট ফসলি জমি, পুকুরের মাছ তলিয়ে ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। যে রাস্তায় গাড়ি চলত, সেই রাস্তায় নৌকাই একমাত্র ভরসা।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের ফলিয়ার ঘোনা এলাকার বিধবা সুফিয়া বেগম। দুই মেয়ে এক ছেলে নিয়ে যার পরিবার। এ পরিবারের সবাই প্রতিবন্ধী। স্বামী আবদুল হালিম পরের জমি বর্গা চাষ করে সংসার চালাতেন।
সুফিয়ার মতো হাজারও পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে হাস-মুরগি, গরু-ছাগল নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। পাকা রাস্তা দিয়ে চলছে গাড়ির বদলে নৌকা, ভেসে গেছে সবজিক্ষেতসহ বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল।
সরকারি বেসরকারি ত্রাণসহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ বানভাসি মানুষের।
এদিকে স্থানীয় চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মন্টু জানান, প্রায় পুরো ইউনিয়ন পানির নিচে ভাসছে। বেশির ভাগ মানুষের বাড়িতে পানি উঠে হাস মুরগি ছাগল নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করলেও এখনো সরকারি ত্রাণসহায়তা পায়নি। তবে সরকারি ত্রাণ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বানভাসি মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
Comment here