টেলি সামাদের দাফন হবে মুন্সিগঞ্জে - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
বিনোদন

টেলি সামাদের দাফন হবে মুন্সিগঞ্জে

টেলি সামাদকে আগামীকাল রোববার জোহর নামাজের পর মুন্সিগঞ্জের নয়াগাঁও গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে। তার আগে আজ শনিবার মাগরিবের নামাজের পর রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজার মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা হবে। এরপর এশার নামাজের পর মগবাজারে দ্বিতীয় জানাজা হবে। আগামীকাল বেলা ১১টায় টেলি সামাদের মরদেহ নেওয়া হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি)। সেখানে তৃতীয় জানাজা হবে। এমনটাই জানালেন তাঁর মেয়ে সোহেলা সামাদ।

চলচ্চিত্রের অত্যন্ত শক্তিশালী ও জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদ আজ বেলা দেড়টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। তিনি হৃদ্‌রোগ ও বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে বাসায় অসুস্থ হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর আসল নাম আবদুস সামাদ। তবে দর্শকদের কাছে ‘টেলি সামাদ’ নামেই তিনি বেশি পরিচিতি পান।

১৯৪৫ সালের ৮ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জের নয়াগাঁও এলাকায় টেলি সামাদ জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে পরিচালক নজরুল ইসলামের ‘কার বউ’ চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। চার দশকে প্রায় ৬০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। টেলি সামাদ শেষ কাজ করেছেন ২০১৫ সালে অনিমেষ আইচের ‘জিরো ডিগ্রি’ ছবিতে। তবে তিনি দর্শকদের কাছে ‘পায়ে চলার পথ’ ছবির মাধ্যমে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পান। অভিনয়ের বাইরে অর্ধশতাধিক চলচ্চিত্রে তিনি গান গেয়েছেন।

গত শতকের সত্তরের দশক থেকে টেলি সামাদকে পর্দায় দেখেছেন দর্শকেরা। এযাবৎ অসংখ্য চলচ্চিত্র ও নাটকে নানা ধরনের চরিত্রে তাঁর দুর্দান্ত অভিনয় দর্শকের মনে দাগ কেটে আছে দারুণভাবে। নিজের অভিনয়শৈলী দিয়ে দর্শকদের বিনোদন ও হাসিতে সারাক্ষণ মাতিয়ে রাখেন টেলি সামাদ। একসময় কৌতুক অভিনেতা বললেই চলে আসত তাঁর নাম। সমানতালে অভিনয় করেছেন সিনেমায়, টেলিভিশনে। পেয়েছেন তুমুল জনপ্রিয়তা।

সবাইকে হাসিয়েছেন যিনি, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি ভালো নেই। আমার খবর কেউ এখন আর নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। ঘরে বসেই কেটে যাচ্ছে আমার সময়। এখন কথা বলতেও কষ্ট হয়। দিনের পর দিন অসুস্থ হয়ে ঘরেই দিন কাটছে আমার। বাইরেও তেমন যাওয়া হয় না।

Comment here