ডা. জাফরুল্লাহর সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক নেই, ইসি নিয়ে মন্তব্য প্রসঙ্গে ফখরুল

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী নবগঠিত নির্বাচন কমিশনকে ‘ভালো’ বলার পর অনেকেই বিএনপিকেও তা মেনে নিতে বলছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ডা. জাফরুল্লাহর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেকেই আমাকে বলছে ডা. জাফরুল্লাহ এই নির্বাচন কমিশনকে অনেক ভালো বলেছেন, আপনারাও মেনে নেন। আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই ডা. জাফরুল্লাহর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। এটা তার নিজস্ব মন্তব্য। তিনি সবার শ্রদ্ধার মানুষ, জ্ঞানী মানুষ। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি বিএনপির পক্ষে কথা বলার কেউ নন। তার বক্তব্য বিএনপির বক্তব্য নয়।‘

আজ সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর নতুন বাজারে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির

প্রতিবাদে এবং টিসিবির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে সর্বত্র পণ্য সরবরাহের দাবিতে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যেটাই হোক আমরা তাতে বিশ্বাস করি না। কারণ আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনের সময় সরকারে থাকে তাহলে কোনো কমিশনই সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। আওয়ামী লীগ একটি প্রতারক, মিথ্যাবাদী ও অত্যাচারী দল। নির্বাচন কমিশনের টালবাহানা আর মুলা দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়ে শুধুমাত্র বড়লোক হওয়ার জন্য দুর্নীতির মহোৎসব চালাচ্ছে। মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। নিজেদের পকেট ভারি করছে, লুট করছে। লুটের টাকা বিদেশে পাচার করছে। আর দুদক পুঁটি মাছ ধরে কিন্তু বোয়াল মাছ ধরতে পারে না।

ফখরুলের অভিযোগ, বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থাটা আওয়ামী লীগ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এরা নির্বাচন করবে কিন্তু মানুষ যাতে ভোট দিতে না পারে তাও নিশ্চিত করবে। তারা তাদের মতো করে সিল মেরে কিংবা ইভিএম দিয়ে ভোট নিয়ে তাদের সরকার তৈরি করবে। অর্থাৎ তারা ক্ষমতায় থাকবে ঠিকই, শুধু তারা দেখাবে যে নির্বাচন করেছি।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনো সময় আছে চাল-ডাল-তেল, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কমান। জনগণের আশা-আকাঙক্ষা অনুযায়ী পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে জনগণের হাতে ক্ষমতা দিন। এই দেশের মানুষের আশা-আকাঙক্ষা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। সরকারে থেকে একটি ইলেকশন দিয়ে ভোট নিয়ে চলে যাবেন সেই কাজ এবার আর হবে না।

ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেস

আলী মামুন, শরীফুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ এবং যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী।