ডিআইজি মিজানের জামিন বহাল - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

ডিআইজি মিজানের জামিন বহাল

ঘুষ লেনদেনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পুলিশের বরখাস্তকৃত ডিআইজি মিজানুর রহমানের জামিন বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এই আদেশ দেন।

এদিন আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। আসামির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।
এর আগে সকালে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ মামলার জামিন স্থগিত ও সাজা বৃদ্ধি চেয়ে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
পরে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও ইজারুল হক আকন্দের দ্বৈত বেঞ্চ ডিআইজি মিজানের সাজা তিন থেকে বাড়িয়ে সাত বছর কেন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
গত ১৩ এপ্রিল ঘুষ লেনদেনের মামলায় ডিআইজি মিজানকে জামিন দেয় হাইকোর্ট। একইদিনে মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় দুদকের এনামুল বাছিরের ৮০ লাখ টাকা জরিমানার সাজা স্থগিত করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের একক বেঞ্চ।

গত ৬ এপ্রিল মিজানের জামিন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। শুনানি শেষে আদালত আজ জামিনের দিন ধার্য করেন। এ সময় নিম্ন আদালতে থাকা মামলার সব নথিও তলব করেন হাইকোর্ট।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজান ও বাছিরকে তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। অপরদিকে মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন শেখ মো. ফানাফিল্লাহ।

গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। এরপর তিনি মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। গত বছর ১৮ মার্চ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ডিআইজি মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ পাওয়ার পর দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন পুলিশের বিতর্কিত এই কর্মকর্তা। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের ঘটনা তদন্ত করছিলেন এনামুল বাছির। মিজান এ সম্পর্কিত অডিও রেকর্ড বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সরবরাহ করেন। এরপরই দুদক তিন সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে কমিশন খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পরে দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদকে নতুন অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

Comment here