নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে বগুড়ায় ফেরা চারজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে তাদের একজনেরও জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট কিংবা পাতলা পায়খানার মতো উপসর্গ ছিল না। আক্রান্তদের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।
বগুড়ার সিভিল সার্জন গউসুল আজিম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে এসেছিলেন বলে সন্দেহবশত তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।
লক্ষণ না থাকার পরও করোনা শনাক্ত হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সিভিল সার্জন বলেন, ‘এ রকম হলে করোনাভাইরাস শনাক্তে পরীক্ষা করতে হিমশিম খেতে হবে।’ এ সময় আয়ারল্যান্ডে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের অর্ধেকেরই উপসর্গ না থাকার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি।
জানা গেছে, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আগে থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজন আছেন। তিনি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার এবং ঢাকা মহানগর পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। গত বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর তাকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্ত হলো পাঁচজনের।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল করোনাভাইরাস শনাক্ত চারজনের মধ্যে সারিয়াকান্দি উপজেলার এক দম্পতি আছেন। ২৫ বছর বয়সী স্বামী নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি বেসরকারি রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে চিকিৎসকের সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করেন। আর তার ২০ বছর বয়সী স্ত্রী একজন গৃহিণী।
আক্রান্ত আরেকজনের বাড়ি সোনাতলা উপজেলায়। ৪৫ বছর বয়সী ওই নারী সম্প্রতি ঢাকা থেকে ফিরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া আদমদীঘির সান্তাহার শহরের ২৮ বছর বয়সী সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি ও বিস্তার রোধে বগুড়া জেলা গতকাল বিকেল থেকে লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করা হয়েছে। বগুড়ার জেলা প্রশাসক এক গণবিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন। লকডাউন ঘোষণার ফলে এ জেলায় কেউ প্রবেশ কিংবা জেলা থেকে বের হতে পারবেন না। জেলার ভেতরে আন্তঃজেলা যাতায়াতের ক্ষেত্রেও একই নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
সব ধরনের গণপরিবহন, জনসমাগম বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা, চিকিৎসা সেবা, কৃষিপণ্য সংগ্রহ, খাদ্য সরবরাহ ও সংগ্রহ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ব্যাংকিং সেবা, ওষুধ শিল্প সংশ্লিষ্ট যানবাহন, কর্মী এই লকডাউনের বাইরে থাকবে।
Comment here