করোনায় ক্ষমতাসীনরাই ‘সুখে’ আছে : রিজভী - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

করোনায় ক্ষমতাসীনরাই ‘সুখে’ আছে : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস মহামারিতে ক্ষমতাসীনরাই ‘সুখে’ আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে সংগঠনের শিল্পীদের ঈদ শুভেচ্ছা প্রদান উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়। পরে রিজভী শিল্পী-কলাকুশলীদের ঈদ শুভেচ্ছা প্রদান করেন।

রিজভী বলেন, ‘তারা (ক্ষমতাসীনরা) চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে ভালো থাকার জন্য। শুনেছি তাদের অনেকেরই হচ্ছে বেগম পল্লীতে বাড়ি আছে কানাডায়, কারও নাকি সেকেন্ড হোম আছে মালয়েশিয়ায়। এর মধ্যে দিয়ে তারা অত্যন্ত সুখে আছেন। তারা অনেক টাকা করেছেন, অনেকে টাকা দেশের বাইরে নিয়ে চলে গেছে। সেগুলো তো সুখে-শান্তিতে থাকার জন্য তারা ব্যবস্থা করেছে।

বিএনপির অবস্থা তুলে ধরে রিজভী বলেন, ‘বিএনপি হলে তো কষ্টের সীমা পরিসীমা নেই। তার চাকরি থাকবে না, তার ব্যবস্থা থাকবে না, তার জীবন-যাপন থাকবে না তার কিছুই থাকবে না। সে বাড়িতে থাকতে পারবে না, এলাকায় থাকতে পারবে না, সে তার বাড়িতে থাকতে পারবে না, তার পরিবারের সাথে থাকতে পারবে না, ঈদের মধ্যেও বাড়িতে যেতে পারবে না। তাকে অসংখ্য মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া, গ্রাম ছাড়া করা হচ্ছে।’

‘আজকে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু মারা গেলেন। কত সংগ্রাম, চরাই-উতরাই, স্বৈরাচারের কত উৎপীড়ন সহ্য করেছে সে। সেই নেতৃত্বেকে আমরা বাঁচাতে পারিনি। এই যে মৃত্যু, এই যে লাশ, এই যে দাফন এর মধ্য দিয়ে আমাদের জীবন কাটছে’, বলেন রিজভী।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই আওয়ামী লীগের পাত্তা থাকবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনকে তারা জাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে। আওয়ামী মার্কা নির্বাচন, হাসিনা মার্কা নির্বাচন সেই নির্বাচনে ভোটার দরকার পড়েনি, সেই নির্বাচনকে তারা প্রতিষ্ঠিত করেছে। সুতরাং, এখানে নাগরিক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে কেন? মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকলে তো কথা বলতে হবে।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব বরেন, ‘এই যে অন্যায়, অনাচার, এই যে জিকেজি, রিজেন্ট হাসপাতাল, এই যে করোনার জাল সার্টিফিকেট এগুলোর বিরুদ্ধে মানুষ সোচ্চার, মানুষ রাস্তায় নামে। সেই কারণে গণতান্ত্রিক অধিকার যে অধিকারের জন্য ছাত্র-জনতা এতো রক্ত দিয়েছে তারা ক্ষমতায় এসে প্রথমেই টার্গেট করে গণতন্ত্র। ‘৭২ সালেও তারা গণতন্ত্রকে টার্গেট করেছিল। আজকেও ক্ষমতাকে কবজা করে একদলীয় শাসনে দেশ চালাচ্ছে তারা।’

যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোবাইল টেলিফোনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। জাসাসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন—ইথন বাবু, রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম রিপন, মীর সানাউল হক, হাসান চৌধুরী, আরিফুর রহমান মোল্লা, আবদুল হান্নান মাসুম, রফিকুল ইসলাম স্বপন, চৌধুরী আজহার আলী শিবাসানু, মিজানুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

Comment here