ঢাবির হলে ফাটল, শিক্ষার্থীদের আসবাবপত্র সরানোর নির্দেশ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
শিক্ষাঙ্গন

ঢাবির হলে ফাটল, শিক্ষার্থীদের আসবাবপত্র সরানোর নির্দেশ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের বারান্দায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ফাটল বিবেচনায় আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে বারান্দায় থাকা শিক্ষার্থীদের আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ।

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক মজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের দক্ষিণ ব্লকের দক্ষিণ ও পশ্চিমের বারান্দায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ওই বারান্দায় কোনো ধরনের খাট কিংবা ভারী আসবাবপত্র রাখা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বারান্দায় কোনো ছাত্র অবস্থান করতে পারবে না। তাই আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে বারান্দায় রাখা নিজ নিজ বিছানাপত্র ও খাট সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ছাত্রদের নির্দেশনা দেওয়া হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীরা নিজেরা সরিয়ে না ফেললে হল কর্তৃপক্ষ এসব খাট বা বিছানাপত্র সরিয়ে ফেলবে। একইসঙ্গে বারান্দায় অবস্থানরত ছাত্রদের অনতিবিলম্বে হল অফিসে যোগাযোগ করে সিটের জন্য আবেদন করতে বলা হচ্ছে।

আজ শনিবার সরেজমিন দেখা যায়, হলের বেশ কিছু জায়গায় ফাটল রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. মজিবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে বিশেষজ্ঞ কমিটিও গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন প্রকৌশলী ও বুয়েটের তিনজন বিশেষজ্ঞ এই কমিটিতে থাকছেন।

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, ‘হলের বারান্দায় কিছু কিছু জায়গা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি। বুয়েটের তিন সদস্যের একটা বিশেষজ্ঞ দল হলের ফাটল পরিদর্শন করেছে। আমরা ইতিমধ্যে কয়েকটি মিটিং করেছি, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি। সেখানে থাকা শিক্ষার্থীদের ভারী আসবাবপত্র সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর আমরা সংস্কার কাজ শুরু করব।’

হলের বারান্দায় থাকা শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী হলের বারান্দায় আর কোনো ছাত্র অবস্থান করতে পারবে না। যেসব ছাত্র এখানে অবস্থান করত, তাদের ফাঁকা সিটগুলোতে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা অনেক ছাত্রের বরাদ্দ সম্পন্ন করেছি। বাকি ছাত্রদেরও আবাসিক শিক্ষক কিংবা হল অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

 

Comment here