তথ্য গোপন করে করোনায় মৃতের লাশ দাফন, ৮ বাড়ি লকডাউন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সন্দেহভাজন করোনা আক্রান্ত এক রোগী মারা যাওয়ার পর হাসপাতাল থেকে গোপনে মরদেহ বের করে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়েছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, এমন দাবি করায় গ্রামবাসী মিলে তাকে দাফন করেন। পরবর্তীতে ওই রোগীর করোনা পরীক্ষায় ফলাফল পজিটিভ আসলে ঢাকা ও তার গ্রামের আটটি বাড়ি লকডাউন করেছে পুলিশ।

নিহতের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানার ইসাপুরা ইউনিয়নে। তবে তিনি ঢাকার গেন্ডারিয়ায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন।

জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পেট ব্যথা বলে তাকে তখনই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েক ঘণ্টা তার শারীরিক লক্ষণ পর্যবেক্ষণের পর করোনায় আক্রান্ত বলে সন্দেহ করেন দায়িত্বরত ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসক। পরে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ দিয়ে পাঠানো হয়।

বুধবার রাতেই কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি মারা যান। সেই রাতেই তার পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল থেকে গোপনে মরদেহ বের করে গেন্ডারিয়ার বাসভবনে নিয়ে যান এবং সেখানে গোসল করান। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে তারা মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানা এলাকায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে জানাজা পড়ে দাফন সম্পন্ন করেন।

নিহতের নমুনা পরীক্ষা করে পরদিন তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন বলে জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।

গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজু মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানা এলাকায় নিহতের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। তিনি করোনা আক্রান্ত শুনে তার গেন্ডারিয়ায় বসবাসরত বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন জানান, বুধবার রাতে কুর্মিটোলা হাসপাতালে মারা গেছেন তিনি। সেখান থেকে তার পরিবার মরদেহ গেন্ডারিয়ায় নিয়ে গোসল করিয়ে সিরাজদিখানে তার স্থায়ী বাড়িতে নিয়ে আসে। তিনি হৃদরোগে মারা গেছেন বলে এলাকায় বলা হয়েছে। নিহতের দাফন-কাফনে জড়িত লোকজনের আটটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।