তিন দিন আটকে রেখে ‘ধর্ষণ’ : জানা গেল, স্বেচ্ছায় গিয়েছিল স্কুলছাত্রী - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
চট্টগ্রামসমগ্র বাংলা

তিন দিন আটকে রেখে ‘ধর্ষণ’ : জানা গেল, স্বেচ্ছায় গিয়েছিল স্কুলছাত্রী

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে তিনদিন আটকে রেখে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরপর তার সামনে ওই ছাত্রীকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে পাল্টে যায় আগের অভিযোগ!

গতকাল শুক্রবার রাতে চট্রগ্রামের খুলসি থেকে হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ সাখাওয়াতকে গ্রেপ্তার করে। আজ শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর সাখাওয়াতের মুঠোফোনে ওই ছাত্রীর একাধিক ম্যাসেজ দেখতে পায় তারা। সেখান থেকেই তারা জানতে পারে, ওই ছাত্রী স্বেচ্ছায় সাখাওয়াতের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিল। পরে ওই ছাত্রীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বিষয়টি স্বীকার করে।

ওই স্কুলছাত্রীর বরাত দিয়ে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন রনি বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওই ছাত্রী স্বীকার করেছে যে, সে  সাখাওয়াতের সঙ্গে স্বেচ্ছায় পালিয়েছিল। কিন্তু চট্রগ্রামে যাওয়ার পর সাখাওয়াতের ফোনে কল আসে তার স্ত্রীর। সেই ফোন রিসিভের পরই ওই ছাত্রী জানতে পারে, সাখাওয়াত বিবাহিত। পরে সে সাখাওয়াতের সহায়তায় বাড়িতে চলে আসে।

তবে গতকাল ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গত ২৯ জুলাই দুপুরে স্কুলে যাওয়ার পথে সাখাওয়াতসহ কয়েকজন নেশাজাতীয় দ্রব্য দিয়ে অচেতন করে ওই স্কুলছাত্রীকে চট্টগ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে তিন দিন আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। গত ১ আগস্ট গভীর রাতে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় গ্রামের বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন ভোরে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এর কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে সে পরিবারের ঘটনাটি খুলে বলে।

এ বিষয়ে আজ সাখাওয়াত ও ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ কিছু জানতে পেরেছে কি না, উত্তরে হাজীগঞ্জ থানার ওসি আলমগীর হোসেন রনি বলেন, ওই ছাত্রী নিজের ইচ্ছায় চট্টগ্রামে গিয়েছিল। আবার সে নিজের ইচ্ছায় বাসায় ফেরে। সে অচেতন অবস্থায় বাসায় ফেরেনি।

ওসি জানান, কুমিল্লায় ওই ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষার পর তাকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল রোববার ২২ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেবে সে। আর আসামি সাখাওয়াতকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত ২৯ জুলাই দুপুরের পর থেকে ওই ছাত্রীর কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না তার পরিবারের সদস্যরা। পরে ওই দিন বিকেলেই হাজীগঞ্জ থানায় ওই ছাত্রীকে অপহরণের মামলা দায়ের করেন তার বড় ভাই। মামলায় সাখাওয়াত হোসেন, তার ভাই মীর হোসেন ও তাদের বাবা মো. আবদুল লতিফকে আসামি করা হয়।

ওই মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিন স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে স্কুলছাত্রীকে সাখাওয়াত প্রেম নিবেদন করত। মেয়েটি ঘটনা তার পরিবারকে জানায়। অভিভাবকরা সাখাওয়াতের পরিবারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের তা অবহিত করেন, কিন্তু কোনো প্রতিকার পাননি।

Comment here