রেজাউল রেজা : করোনা মহামারীর ঢেউ সামলে স্বাভাবিক আয়ে ফিরতে লড়াই করছে মানুষ। তাদের এ লড়াই আরও কঠিন করে তুলেছে জীবনযাত্রার বাড়তি খরচ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাজারে গিয়ে। চাল, ডাল, তেল, আটা থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম বেড়েই চলেছে। বাজারের উত্তাপ থেকে রেহাই পেতে মধ্যবিত্তরাও দাঁড়াচ্ছেন টিসিবির ট্রাকের পেছনে। পণ্য পেতে সেখানেও হাহাকার। এমন পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্যের অস্থিরতা সামলাতে নড়েচড়ে বসেছে সরকার। এরই মধ্যে ভোজ্যতেলসহ চিনি ও ছোলার ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা এসেছে।
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ নিশ্চিতে আমদানিতে সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নিত্যপণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে এলসি (ঋণপত্র) মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের কমিটিও করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের কারসাজি ঠেকাতে সারাদেশে বাজারে তদারকি জোরদার করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পণ্য বেচাকেনায় পাকা রসিদের ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করেছে সংস্থাটি। কিন্তু বাজারে নিত্যপণ্যের দামে এসবের উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব চোখে পড়ছে না। জিনিসপত্রের দামে এখনো পুড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। দীর্ঘ হচ্ছে গরিবের দীর্ঘশ্বাস।
গতকাল রাজধানীর মালিবাগ বাজারে ব্রয়লার মুরগি, পেঁয়াজ, ডাল, ফুলকপি, বেগুন আর কাঁচামরিচ কিনেই পকেট ফাঁকা বেসরকারি চাকরিজীবী আবুল হোসেনের। সয়াবিন তেলের বোতলের দাম শুনে খোলা তেলের দোকানের দিকে হাঁটা দেন তিনি। সেখানেও হতাশ হতে হয় তাকে।
আবুল বলেন, ‘বাসায় মেহমান, তাই বাজারে এলাম। সামান্য ব্রয়লারের দাম ১৬৫ টাকা কেজি। পেঁয়াজের কেজি ৬৫ টাকা, আধা কেজি ডাল ৫০ টাকা, ফুলকপিও ৫০ টাকায় কিনতে হলো, বেড়েছে আলুর দামও। দোকানে বোতলের সয়াবিনের লিটার চাইল ১৭০ টাকা, খোলা তেলের দামও দেখি একই। সরকার নাকি ভ্যাট কমিয়েছে, মোবাইলকোর্ট বসিয়েছে! কিন্তু বাজারে তো আমাদের কষ্ট কমছে না। তা হলে এসব করে কী লাভ। আমরা তো ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি; কোথায় যাব আমরা; কার কাছে নালিশ দেব।’
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া, ভ্যাট প্রত্যাহার, নিত্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এলসি (ঋণপত্র) মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখাসহ বাজার তদারকি জোরদার করছে সরকার। তবুও এর সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা। বাজারে বেশি মুনাফা লুটতে এখনো তৎপর সিন্ডিকেট চক্র। এর আগে পেঁয়াজ ও চাল নিয়ে বাজার অস্থির করে তুলে অল্প সময়ে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এখন সয়াবিন তেল নিয়ে শুরু হয়েছে। পেঁয়াজ ও চালের উৎপাদন সন্তোষজনক হলেও এগুলোতে বাড়তি মুনাফা করছে সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় গলদসহ নানা ফাঁক দিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময় অনৈতিকভাবে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন, যার খেশারত দিচ্ছেন ভোক্তারা। গোড়া থেকে সমস্যার সমাধান না করলে সরকার যতই উদ্যোগ নিক, সুফল মিলবে না।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান আমাদের সময়কে বলেন, সরকার ভোজ্যতেলে ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে, এটা ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে এ সুবিধা ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছল কিনা, তা নিশ্চিত করতে হবে। বাজারে এখনো কৃত্রিম সংকট দেখা যাচ্ছে। একইভাবে চালের রেকর্ড উৎপাদনের পরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। পেঁয়াজের আবাদ বাড়ছে কিন্তু দাম কমছে না। আমাদের বাজার ব্যবস্থাপনায় ফাঁক রয়েছে। আমাদের কাছে পণ্য সরবরাহের সঠিক তথ্য নেই। রসিদ ছাড়াই পণ্য বেচাকেনা চলছে। বাজারসংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ে ঘাটতি রয়েছে। এসবের সুযোগ নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে বারবার বাড়তি মুনাফা করছেন।
দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন পর্যায়ে ও ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যমূল্যের যে বিশাল পার্থক্য, সেটাই কারসাজির ইঙ্গিত দেয় বলে মনে করেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান। আমাদের সময়কে তিনি বলেন, উৎপাদন অথবা আমদানি পর্যায় এবং ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যমূল্যের যে বড় ব্যবধান দেখা যায়- এটাই আমাদের বড় সমস্যা। কিছুদিন আগেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, স্থানীয় পর্যায়ে ১৩ টাকার সবজি রাজধানীর খুচরা বাজারে ৩৮ টাকায় বিক্রি হয়। পৃথিবীর অন্য কোথাও এমন নজির নেই।
বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাতে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াচ্ছেন। কিন্তু এটা যৌক্তিক কারণ নয় উল্লেখ করে মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়ায়। আগেও দেখেছি আমরা। বর্তমানে তারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সুযোগ নিচ্ছেন। যদিও এ ইস্যুতে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তবে এখনই দেশের বাজারে তার প্রভাব সেভাবে পড়ার কথা নয়। অথচ তিন মাস আগে আমদানিকৃত পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। তখন তো ইউক্রেন যুদ্ধ ছিল না। তা ছাড়া এ ইস্যুর আগেও সব জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছিল।
এদিকে ভোজ্যতেলের ভ্যাট প্রত্যাহার করায় ব্যবসায়ীদের সুবিধা হলেও ভোক্তারা খুব একটা উপকৃত হবে না বলে মনে করেন সিপিডির এ বিশেষ ফেলো। তিনি আরও বলেন, ভ্যাট প্রত্যাহার হলেও ভোজ্যতেল বিক্রি হবে সর্বশেষ নির্ধারিত দাম অনুযায়ী। ভ্যাট প্রত্যাহারের পর নতুন করে দাম হয়তো বাড়বে না, কিন্তু নির্ধারিত দামের চেয়ে কমবেও না। নির্ধারিত যে দাম সেটাও তো কম আয়ের ভোক্তাদের নাগালের বাইরে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, তেলের ঘাটতি না থাকার পরও সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি অস্বাভাবিক। গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীর জন্য পুরো ব্যবসায়ী সমাজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অনলাইন ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, বাজার পরিস্থিতি সামাল দিতে ভ্যাট-শুল্ক প্রত্যাহারের পাশাপাশি টিসিবিকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, রমজানে সয়াবিন তেলসহ চিনি ও ছোলার ওপর আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। মূলত রমজান মাসে যেসব পণ্য বেশি প্রয়োজন, সেসব পণ্যের শুল্ক প্রত্যাহার হয়েছে। কারণ সবাই এগুলোর ভোক্তা। সয়াবিনের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানানো হয়।
মন্ত্রী ভ্যাট প্রত্যাহারের কথা জানালেও এ নিয়ে বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। বাজারে কবে নাগাদ তেলের দামে ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রভাব পড়বে জানতে চাইলে দেশের শীর্ষস্থানীয় ভোজ্যতেল বিপণনকারী সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা আমাদের সময়কে বলেন, ভ্যাট প্রত্যাহার হয়েছে- এমন কোনো লিখিত কাগজ তারা পাননি। তাই এখনই বলা যাচ্ছে না যে, বাজারে কী প্রভাব পড়বে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানের একজন পদস্থ কর্মকতা বলেন, ‘আপনারা এনবিআরের কাছে ভ্যাট কমানোর কাগজ চান। কাগজ না দেখে কিছু বলার সুযোগ নেই। কারণ এখনো এমন কোনো নির্দেশনাই আমরা পাইনি।’
এদিকে বাজারে গতকাল শুক্রবার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭০ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৮২০ থেকে ৮৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। অপরদিকে সুপার পাম তেল প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, আর লিটার ১৪৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কারওয়ানবাজার ও মালিবাগবাজারের মের্সাস গাজী স্টোরের ব্যবসায়ী মো. মাসুদ রানা জানান, ভ্যাট প্রত্যাহারের পর কিছু দোকানে দাম সামান্য কমেছে। কিন্তু বেশিরভাগ দোকানেই দাম বাড়তি রয়েছে। কারণ কোম্পানিগুলো এখনো তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক করেনি। একই কথা জানান কারওয়ানবাজারের মুরগির বাজারের ব্যবসায়ী মুজাহিদ ও জাকির হোসেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের হুশিয়ারির পরও বাজারে তেলের মজুদ নিয়ে কারসাজি থেমে নেই। এখনো কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। তেলের পাইকাররা বলছেন, ভ্যাট কমানো হলেও শিগগিরই বাজারে এর প্রভাব পড়বে না, সময় লাগবে। কারণ তেল এরই মধ্যে বন্দর থেকে খালাস হয়ে গেছে। যে তেল বাজারে চলে এসেছে, সেগুলো আগে ফুরাতে হবে।
রাজধানীর বাজারদরের চিত্র বলছে, মাসের ব্যবধানে প্রয়োজনীয় ১৪টি পণ্যের দাম বেড়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, আটা, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, আলু, ব্রয়লার মুরগি, ডিম, গরুর মাংস, কাঁচামরিচ ও ছোলা। দেশে এবার আমনের রেকর্ড ফলন ও আউসের ভালো উৎপাদনের পরও মাসের ব্যবধানে বাজারে মোটা চালের দাম কেজিতে ২ টাকা এবং সরু চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মসুর ডালের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত। এক কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। মাসের ব্যবধানে কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে পেঁয়াজের কেজি হয়েছে ৬৫ টাকা। চীনা রসুনের দামও কেজিতে ১০ টাকা এবং আদা প্রকারভেদে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। খোলা আটার দামও কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি আলুতেও খরচ বেড়েছে ৫ থেকে ৮ টাকা। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬৫ টাকা। গরুর মাংস ঠেকেছে ৬৫০ টাকায়। ডিমের দাম হালিতে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ট্রেড করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবও বলছে, মাসের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। বাজারদর ও টিসিবির হিসাব মিলিয়ে দেখা গেছে, মাসের ব্যবধানে সরু চাল ৩.১৩ শতাংশ, মোটা চাল ৪.৩৫ শতাংশ, বড় দানার মসুর ডাল ২.৫৬ শতাংশ, বোতলজাত সয়াবিন তেল ৪.৬৯ থেকে ৬.৫৮ শতাংশ পর্যন্ত, পাম সুপার ১৬.৮৫ শতাংশ হারে দাম বেড়েছে। একই সময়ে খোলা আটা ৮.৭ শতাংশ, চিনি ৩.২৭, দেশি পেঁয়াজ ১০৮, চায়না রসুন ১৪.২৯ এবং আদার ১২.৫ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে। ছোলার দাম এক লাফে সাড়ে ৩ শতংশ বেড়েছে। অপরদিকে এক মাসে ব্রয়লার মুরগির দাম ৬.৯ শতাংশ ও গরুর মাংসের দাম ৫.৮৩ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া কাঁচামরিচ ৭২.৭৩ শতাংশ, আলু ৮.৫৭ শতাংশ দাম বেড়েছে। ফার্মের ডিমের দাম বেড়েছে ২.৭৮ শতাংশ।
বাজার মনিটরিংয়ে বড় ত্রুটি থাকায় নিত্যপণ্যের বাজার দিনদিন অস্থির হয়ে উঠছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমরা বাজার মনিটরিং মানেই ভ্রম্যমাণ আদালত ও জরিমানা করা বুঝি। কিন্তু এটাকে মনিটরিং বলে না। এতে কেবল কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীর ক্ষতি হয় মাত্র। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে এর কোনো সুফল নেই। মনিটরিং হচ্ছে পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নজরদারি। আমাদের কাছে এ নিয়ে কোনো সঠিক পরিসংখ্যানই নেই। তা হলে সমাধান হবে কী করে। তাই আগে সরকারের কাছে এসব তথ্য থাকতে হবে।’
প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ ক্রেতার নাগালে রাখতে সরকারের মজুদকৃত পণ্য খোলাবাজারে ছাড়তে পারে, সেই সঙ্গে পণ্য পৌঁছানোর আওতা বাড়াতে পারে বলে পরামর্শ দেন সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আরও বলেন, ভোক্তা অধিকারসহ বাজারসংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে আরও কার্যকর করা যেতে পারে। পাশাপাশি সমন্বয়ও দরকার।
Comment here