নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতিবেশী দেশ ভারতের নয়াদিল্লিতে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনসহ মসজিদ-মাদ্রাসায় আগুন দেওয়ার প্রতিবাদে বাংলাদেশের সমমনা ইসলামী দলগুলো বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আজ শুক্রবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ থেকে মিছিলটি বের হয়।
জুম্মার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিলটি বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট থেকে শুরু হয়ে নয়াপল্টনের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে। এ সময় মুসল্লিরা দিল্লির সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। ভারতের রাজধানী দিল্লির এমন বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে সেখানকার আক্রান্ত মুসলিম ও মসজিদের ছবি সম্বলিত পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড বহন করেন দলগুলোর নেতাকর্মীরা।
মিছিলের আগে অনুষ্ঠিত খণ্ড সমাবেশে বক্তারা বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়কে ভারতের মুসলমানের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তারা বলেন, ভারতের সাম্প্রদায়িক মোদি সরকার সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে। মুসলমানদের বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। নারী ও শিশুদের ওপরও নির্মম নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করতে বিশ্ব মুসলিম নেতাদের এগিয়ে আসতে হবে।
আজকের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার ক্ষমতাসীন সরকারি দল বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক হামলার জন্য দায়ী করা হয়। এ সময় ঢাকায় মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণ প্রত্যাহারের দাবিও জানান তারা।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট থেকে শুরু করে নয়া পল্টনের অগ্রভাগে বিপুল সংখ্যক মানুষ মিছিলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। নিরাপত্তার জন্য বায়তুল মোকাররম মসজিদের আশপাশের এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে মিছিলে কোনো বাধা দেয়নি পুলিশ।
প্রসঙ্গেত, ভারতের ক্ষমতাসীন দলের নেতা কপিল মিশরা বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে বিক্ষোভ বন্ধে কয়েক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর গত রোববার দিল্লিতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
সিএএ-বিরোধী মুসলিমদের ওপর সশস্ত্র হামলা শুরু করে আইনটির সমর্থকরা। এই সাম্প্রদায়িক হামলায় নিহত হন কমপক্ষে ৪২ জন। আহত হন সাড়ে তিন শতাধিক। আহতদের মধ্যে প্রায় ৭০ জন গুলিবিদ্ধ।
Comment here