দেবিদ্বারে হত্যার উদ্দেশ্যে সাংবাদিক মামুনের উপর সন্ত্রাসী হামলা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

দেবিদ্বারে হত্যার উদ্দেশ্যে সাংবাদিক মামুনের উপর সন্ত্রাসী হামলা

মামুনুর রশিদ : কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলাস্থ ২নং ইউসুফপুর ইউপি’র এগারগ্রাম বাজারে সাংবাদিক এম,জে,এ মামুনের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে একদল স্থানীয় সন্ত্রাসী। মামুন আইন-সহায়তা কেন্দ্র(আসক) ফাউন্ডেশন এর কেন্দ্রীয় কো-অর্ডিনেটর, বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্রাইম সংগঠন এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকা’র বিশেষ প্রতিনিধি কুমিল্লা জেলা, জাতীয় দৈনিক একুশে সংবাদ এর স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক আজকের আলোকিত সকাল এর ক্রাইম রিপোর্টার, দৈনিক একুশের বানি পত্রিকার দেবিদ্বার প্রতিনিধি,  এবং এগারগ্রাম বাজার কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক।
খুজ নিয়ে জানা যায়, ১৩/০৩/২০২০ শুক্রবার সকাল ৯ ঘটিকায় এগারগ্রাম বাজারে একটি দোকানে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাট হয়েছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সংবাদ সংগ্রহের জন্য সাংবাদিক মামুন উক্ত স্থানে যায় এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হামলার আলামত সংগ্রহ করেন। পরে সন্ত্রাসীরা পুনরায় বাজারে হামলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে ভিডিও সংগ্রহ করার সময় সাংবাদিক মামুন এর উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
হামলাকারী সন্ত্রাসীরা হলেন মুগসাইর গ্রামের মোঃ মামুন মিয়া ও মোঃ মেমেন মিয়া, পিতা- মৃত বজলুমিয়া; আরিফুল ইসলাম ওরফে বড়মিয়া পিতা- মৃত বাবুল ফকির; মোঃ কামাল হোসেন, পিতা- মোঃ নোয়াব মেম্বার; মোঃ সাকিল, পিতা- মৃত শাহ আলম; মোঃ বিল্লাল হোসেন, পিতা- মৃত যদুমিয়া; মোঃ হেলাল, পিতা- আবু তাহের মোল্লা; মোঃ সুহেল(টেম্পু) পিতা- মৃত রাজ্জাক; মোঃ শুরুজ মোল্লা, পিতা- অজ্ঞাত; মোঃ আবু তাহের, পিতা- মৃত বজলুমিয়া; মোঃ জাহাঙ্গীর, পিতা- মৃত আবিদ আলী সহ আরও দশ পনের জনের একটি সংঘবদ্ধ জুটি। ওরা এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, ঘুস, মাদক এবং বিভিন্ন অসামাজিক অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে প্রতিনিয়ত। তাদের এসকল অনৈতিক কাজে কেউ বাধা দিলেই শুরু হয় অত্যাচার নির্যাতন ও হামলা। তাদের অত্যাচারে এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারনে জানমালের নিরাপত্তাহীন ও আতঙ্কিত এলাকার সচেতন জনগন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক মামুন বলেন, ওই দিন এগারগ্রাম বাজারে হামলার ঘটনা শুনে সকাল ১০:২০ ঘটিকায় আমি সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে জানতে পারি স্থানীয় সন্ত্রাসীরা সকাল ৯:০০টা থেকে দফায় দফায় তিনটি হামলা করেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হামলার আলামত সংগ্রহ করি। আমি এগারগ্রাম বাজার কমিটির যুগ্ন- সাধারন সম্পাদক বিধায় ইউছুফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব মোস্তফা কামাল চৌধুরী মুঠো ফোনে আমার সাথে যাগাযোগ করেন এবং উক্ত হামলার বিষয়ে জানতে চান। তিনি উক্ত ঘটনার বিষয়ে অবগত হয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত রাখার জন্য আমাকে দ্বায়ীত্ব দেন।
তিনি বলেন চেয়ারম্যান কামাল চৌধুরী’র আদেশক্রমে আমি উভয়পক্ষের সাথে আলোচনার পদক্ষেপ নেই। এবং সেই মোতাবেক উভয়পক্ষের সাথে আলোচনার অংশ হিসেবে প্রথমে হামলাকারী পক্ষের অভিভাবক নোয়াব মেম্বারের নিকট গিয়ে একটি সামাজিক শালিসের প্রস্তাব করি এবং বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অনুরুধ জানাই। উক্ত আলোচনা চলাকালিন সময়ে হামলাকারীরা ভূক্তভোগীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে পূনরায় হামলার উদ্দেশ্যে বাজারে প্রবেশ করলে এক পর্যায়ে আমি তাদের বাধা দেই। আমার বাধা অমান্য করিয়া সন্ত্রাসীরা আবারো ঐ দোকানের দিকে চতূর্থ বারের মতো হামলা করতে অগ্রসর হলে সাংবাদিক হিসেবে আমি পুনরায় হামলার ভিডিও রেকর্ড করতে গেলে সন্ত্রাসী মামুন আমাকে ভিডিও বন্ধ করতে হুমকি ধমকি দিয়ে তার দলবল নিয়ে এগিয়ে এসে ক্যামেরা টানাটানি শুরু করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। টানা হেচরা করিয়া আমার পরিহিত কোট সার্ট ছিড়ে ফেলে এবং আমার ব্যবসায়ীক কাজের পকেটে রক্ষিত দুই লাখ টাকা ও মোবাইল সন্ত্রাসীরা ছিনিয়ে নেয়।
তিনি আরও বলেন পরে উক্ত হামলার খবর পেয়ে সাংবাদিক মামুনুর রশিদ ও সাংবাদিক ইব্রাহিম আমাকে মারাত্বক আহত অবস্থায়  উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এই ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন সর্বস্তরের জনগন। তারা বলছেন সন্ত্রাসীরা এলাকায় বুক ফুলিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং ভূক্তভোগীদের নানা প্রকার হুমকী ধমকী সহ প্রাননাশের হুমকী দিয়ে আসছে। তাদের ভয়ে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার সাধারণ জনগন। তাদেরকে প্রচলিত আইনের আওতায় সঠিক বিচারের দাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন ও ভূক্তভোগী জনগন।
 এ ব্যাপারে দেবিদ্বার উপজেলা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক)ফাউন্ডেশন এর সভাপতি কাউছার হায়দার ও সাংবাদিক মহল তীব্র নিন্দা ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘ এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না, তার মানহানী করা ঠিক হয়নি। এ ঘটনার কঠোর ব্যবস্থা হওয়া প্রয়োজন। দায়িত্ব পালনের সময় যাতে কোনো সাংবাদিক লাঞ্চিত না হয় তা সম্মিলিতভাবে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নিতে হবে।

Comment here