দেশে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তে নতুন রেকর্ড - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

দেশে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তে নতুন রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ৯৬৪ জন। এখন পর্যন্ত একদিনে মৃত্যু ও শনাক্তে এটিই সর্বোচ্চ রেকর্ড।

শুধু মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যাই নয়, রেকর্ড হয়েছে করোনা শনাক্তের হারেও। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।

এর আগে গতকাল রোববার ২৪ ঘণ্টার হিসেবে দেশে করোনায় ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়। শনাক্ত হয় ৮ হাজার ৬৬১ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ২৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ। দেশে করোনায় এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ২২৯ জনের। শনাক্ত হয়েছে ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৬৪ জনের মধ্যে ৫৫ জনই খুলনার। এ ছাড়া ঢাকায় ৪০, চট্টগ্রামে ১৮, রাজশাহীতে ১৬, বরিশালে ৯, সিলেটে ৮, রংপুরে ১৬ এবং ময়মনসিংহে ২ জন মারা গেছেন। মারা যাওয়াদের মধ্যে ১০৯ জন পুরুষ এবং ৫৫ জন নারী।

এদিকে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর লকডাউন আরও সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ফলে চলমান বিধিনিষেধ চলবে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গত ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। করোনার ভারতীয় ধরনের প্রভাবে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে লকডাউন ও বিধিনিষেধ জারি করে জেলা প্রশাসন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ও করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারা দেশে ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। সোমবার তা আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে সরকার।

বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অকারণে কেউ রাস্তায় বের হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ছেন তারা। এ ছাড়া বিনা কারণে রাস্তায় বের হওয়ার অপরাধে মামলা, জরিমানা ও বিভিন্ন রকমের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে।

চলমান বিধিনিষেধে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, শপিং মল, দোকানপাট এবং গণপরিবহন ছাড়াও যন্ত্রচালিত যানবাহন (জরুরি কাজে নিয়োজিত ছাড়া) চলাচল বন্ধ রয়েছে। সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র, জনসমাবেশ হয়-এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানও বন্ধ। যা এখনো অব্যাহত থাকবে। অতি জরুরি প্রয়োজন (ওষুধ-নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনা, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি) ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে মানা করেছে সরকার।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর দেশে করোনায় প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

 

Comment here