সারাদেশ

‘দোয়া করো মাফ করে দিও’, পরিবারের সাথে শেষ কথা তৌফিকের

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ’র সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার তৌফিকুল ইসলামের বাড়ি খুলনা নগরীর ছোট বয়রা করিমনগর এলাকায়। বুধবার ওই বাড়িতে গেলে দেখা যায় পরিবারের সদস্যদের চোখে মুখে অনিশ্চয়তার ছাপ।

এর আগে, মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় তৌফিক মোবাইলে জাহাজটি দস্যুরা ঘিরে ফেলেছে বলে খবর দেয়। এসময় স্ত্রীর ফোনে ফোন দিয়ে পরিবারের সবার সাথে কথা বলতে চায়।

 

তৌফিকের স্ত্রী জোবায়দা নোমান জানান, দুপুরের দিকে একবার কথা হয়েছিল। এসময় জাহাজের চারপাশে দস্যুরা ঘিরে ধরেছে বলে জানায়। বিকাল ৫টার দিকে আবার ফোন দিয়ে জানায় অস্ত্র নিয়ে দস্যুরা জাহাজে উঠেছে। তাদের মারধর করে জাহাজ সোমালিয়ায় নিয়ে যেতে বলছে।

ফোনে তিনি দোয়া করতে বলেন। তিনি বলেন, হয়তো আর যোগাযোগ হবে না। মাফ করে দিও। কি হবে কিছুই তো আসলে জানি না।
তৌফিকের স্ত্রী জোবায়দা নোমান জানান, দুপুরের দিকে একবার কথা হয়েছিল। এসময় জাহাজের চারপাশে দস্যুরা ঘিরে ধরেছে বলে জানায়। বিকাল ৫টার দিকে আবার ফোন দিয়ে জানায় অস্ত্র নিয়ে দস্যুরা জাহাজে উঠেছে। তাদের মারধর করে জাহাজ সোমালিয়ায় নিয়ে যেতে বলছে।

ফোনে তিনি দোয়া করতে বলেন। তিনি বলেন, হয়তো আর যোগাযোগ হবে না। মাফ করে দিও। কি হবে কিছুই তো আসলে জানি না।
আমার জন্য দোয়া করো। এরপর আমার শাশুড়ির সঙ্গে কথা বলেন। 

তৌফিকের মা দিল আফরোজ জানান, ফোনে ছেলে আমাকে বলে আম্মা আমি ভালো আছি চিন্তা করো না। আমি বললাম চিন্তা তো হয়ই। তুমি দোয়া-কালাম পড়ো।

আল্লাহ বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন। এই কথা বলতে বলতেই কেউ একজন মোবাইল কেড়ে নেয়। অপর প্রান্ত থেকে আম্মা আম্মা বলে ডাক শুনেছি। আমি তৌফিক তৌফিক বলে চিৎকার করি। এরপর থেকে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। 

জানা যায়, গত নভেম্বরে বাড়ি থেকে জাহাজে চলে যান তৌফিক। আগামী কোরবানির আগে তার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। তৌফিকের এক ছেলে, এক মেয়ে। বড় মেয়ে তাসফিয়া তাহসিনার বয়স ৭ বছর, সে স্থানীয় মাদ্রাসায় পড়ে। ছোট ছেলে আহমেদ রুসাফির বয়স ৫ বছর।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুরে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ায় নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জাহাজে মোট ২৩ জন নাবিক রয়েছে।

Comment here

Facebook Share