ধর্মীয় অনুভূতিতে ‘আঘাত’, ডা. জাফরুল্লাহ বিরুদ্ধে মামলা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

ধর্মীয় অনুভূতিতে ‘আঘাত’, ডা. জাফরুল্লাহ বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হিসেবে নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রামের আদালত।

আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম আবু ছালেহ মো. নোমান এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিথুন বিশ্বাস।

এই আইনজীবী জানান, আদালত মামলার তদন্ত করে ১৯ নভেম্বর প্রতিবেদন জমা দিতে ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে দুপুরে আদালতে অভিযোগটি করেন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পশ্চিম ধলই গ্রামের মানিক দের ছেলে বিপ্লব দে।

বাদীর আইনজীবী মিথুন বিশ্বাস বলেন, ‘ঢাকায় ভাসানী পরিষদের এক সভায় রামায়ন ও মহাভারত সম্পর্কে যে মন্তব্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করেছেন, তাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা সমন জারির আবেদন করেছি। আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে বিকেলে আদেশের জন্য রেখেছেন।’

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ৯ আগাস্ট বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে ‘ভাসানী অনুসারী পরিষদ’ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় ‘ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে’ সনাতন ধর্ম ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে মন্তব্য করেন ডা. জাফরুল্লাহ।

এতে বলা হয়, ‘হিন্দু ধর্মের গ্রন্থ মহাভারত, রামায়ন দুটোর মধ্যেই প্ররোচনা ও মিথ্যাচারের গল্পকাহিনী রয়েছে’ বলে জাফরুল্লাহ মন্তব্য করেন, যা দৈনিক পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

রামায়ন ও মহাভারত সনাতন ধর্মীয় দর্শনের ‘ভিত্তি’ উল্লেখ করে অভিযোগে বলা হয়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ সম্পর্কে জনসম্মুখে দেওয়া বক্তব্য মনগড়া, আপত্তিকর, ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক ও বেআইনি।

ওই বক্তব্যে ‘কুৎসা ও হিংসাত্মক নিন্দাবাদ’ প্রচারের মাধ্যমে সনাতন ধর্মকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে উল্লেখ করে অভিযোগে বলা হয়, ‘কোটি কোটি সনাতন ধর্মাবলম্বীর ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেওয়ার কুমানসে প্রকাশ্যে এরূপ ধর্ম অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন।’

এতে সনাতনী সমাজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সৃষ্টি করায় অভিযোগকারী ব্যক্তিগতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতপ্রাপ্ত এবং সম্প্রদায়ের মানহানিতে নিজের মানহানি অনুভব করে অভিযোগটি করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

Comment here