প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার। আমরা সকলে সেটাই মানি আর বাংলাদেশ বিশ্বে সেটার একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’
আজ রবিবার দুপুর ১টায় গণভবনে ‘বড়দিন ২০২৩’ উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে নিজের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশে জাতি–ধর্ম–বর্ণ নির্বিশেষে সকলে যার যার অধিকার নিয়েই বসবাস করবে। স্বাধীনভাবে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে। সে জন্যই আমি বলেছি- ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মানবতার কথা বলি। যীশু খ্রীষ্টও মানবতার কথা বলেছেন। আবার আমাদের নবী করিম (সাঃ)-ও এই মানবতার কথা শিখিয়েছেন। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেটাই মানতেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সেভাবেই আমরা দেশকে গড়ে তুলতে চাই। যদিও মাঝে অনেক বাধা বিপত্তি এসেছে। কিন্তু যখন থেকে আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে তখন থেকে আমরা এই নীতি মেনে চলেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। সারাদেশে ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর করে দিচ্ছি। বাংলাদেশে একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সবার জন্য এটা প্রযোজ্য। সবার সমান অধিকার নিশ্চিত হয়- এমন একটা সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।’
এসময় আন্দোলনের নামে মানুষ মেরে বিএনপি নির্বাচন বন্ধ করার ফায়দা লুটবে, সেটা মেনে নেওয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘রেলে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য মানুষ পুড়িয়ে মেরে কী অর্জন করছে সেটাই আমার প্রশ্ন। এ ধরনের সংঘাত বন্ধ হোক, সেটাই আমি চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের কাছে যেতে হবে মানুষের কল্যাণের কথা বলে, উন্নয়নের কথা বলে। কিন্তু মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করে ফায়দা লুটবে, এটা বাংলার মাটিতে চলবে না। আমি ধিক্কার জানাই যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের হুকুমদাতা এবং যারা এ ধরনের কাণ্ড ঘটায় তাদের। এভাবে জীবন্ত মানুষ পোড়ানো মহাপাপ-অন্যায়। এই অন্যায় কখনও মেনে নেওয়া যায় না। কোনো ধর্মগুরুই এটা মেনে নেননি।’
Comment here