ননক্যাডার কর্মকর্তাকে পদোন্নতি,ক্যাডার ডিঙিয়ে - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
জাতীয়

ননক্যাডার কর্মকর্তাকে পদোন্নতি,ক্যাডার ডিঙিয়ে

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন সমবায় অধিদপ্তরে পদোন্নতি নিয়ে ঘটেছে তুঘলকি কাণ্ড। ক্যাডার ডিঙিয়ে ননক্যাডার, এমনকি মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি দিয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ।

গতকাল মঙ্গলবার বিভাগের ২২টি পদে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর মধ্যে দুজনকে অতিরিক্ত নিবন্ধক, যুগ্ম নিবন্ধকে ৯ ও উপনিবন্ধকে ১১ জন পদোন্নতি পেয়েছেন।

তবে অতিরিক্ত নিবন্ধক পদে এমন এক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, যিনি প্রকল্প থেকে আসা ননক্যাডার কর্মকর্তা। তার বিষয়ে হাইকোর্টে মামলাও চলমান। অন্যদিকে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কমবেশি ১২ সিনিয়র কর্মকর্তাকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, অতিরিক্ত নিবন্ধক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বিসিএস দশম ব্যাচের কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার ও প্রকল্প থেকে অন্তর্ভুক্ত হওয়া মো. রুহুল আমীন। এর মধ্যে রুহুল আমীনের ক্যাডারভুক্তি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা (নম্বর ৭৫৪৮/২০১৭) চলমান। এ ক্ষেত্রে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের তালিকায় শীর্ষে থাকা বিসিএস অষ্টম ব্যাচের কর্মকর্তা আবুল হোসেন ও শামীম রেজা, নবমের আবু তাহের চৌধুরী ও খোরশেদ আলমকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে।

যুগ্ম নিবন্ধক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ৯ কর্মকর্তা। তারা হলেন- বিসিএস ১৭তম ব্যাচের কর্মকর্তা এসএম তারিকুজ্জামান, ২১তম ব্যাচের জেবুন নাহার, হরিদাস ঠাকুর, মোহাম্মদ আবুল বাসার, মো. মিজানুর রহমান, আশীষ কুমার বড়–য়া, মৃণাল কান্তি বিশ্বাস, রিয়াজুল কবীর ও আবদুল মজিদ। এ ক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়েছেন বিসিএস ১৭তম ব্যাচের কর্মকর্তা কাজী মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, মো. মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ হাফিজুল হায়দার চৌধুরী; ২০তম ব্যাচের নবীরুল ইসলাম (মুক্তিযোদ্ধার সন্তান); ২১তম ব্যাচের মো. জিল্লুর রহমান ও আবুল হোসেন।

উপনিবন্ধক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ৩০তম বিসিএসের ১১ কর্মকর্তা। তারা হলেন- মুহা. শাহীনুর ইসলাম, মো. আতিকুল ইসলাম, শাকিলা হক, মোল্লা মোহাম্মদ নিয়ামুল বাশার, হাসিবুর রহমান মোল্লা, মোহাম্মদ মোস্তফা, মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, শাহানা শিল্পী, ফারহানা আফরোজ, সেলিমুল আলম শাহিন ও মো. আবুল খায়ের। এ ক্ষেত্রে শেখ ফজলুল করিমকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পদোন্নতি সংক্রান্ত ডিপিসির প্রধান এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব কামাল উদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘সমবায় অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেই পদোন্নতি কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারও প্রতি কোনো ধরনের অবিচার করা হয়নি।

যাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা, দুদকের অনুসন্ধান চলমান ও নানা বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে; তাদের পদোন্নতি দেওয়া যায়নি।’ অতিরিক্ত নিবন্ধক পদে এমন একজনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, যিনি ক্যাডার কর্মকর্তা নন; প্রকল্প থেকে আসা। এমনকি তার বিষয়ে হাইকোর্টে মামলা চলমান- এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল তালুকদার বলেন, ‘সমবায় অধিদপ্তর থেকে যে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে, তার ভিত্তিতেই পদোন্নতি হয়েছে। মামলা চলমান- এমন কাউকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি।’

Comment here