নব্বইয়ের মতো আন্দোলনে আসবে না সফলতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন ’৯০-এর চেতনায় করলে সফলতা আসবে না বলে মনে করেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেন, মনে রাখতে হবে ’৯০ আর ’২১ এক নয়। আন্দোলনে সফল হতে গেলে পরিকল্পনামাফিক রাজপথে কর্মসূচি থাকতে হবে। নেতারা আরও বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। ঘরে বসে কমিটি করলে হবে না; নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে প্রতিটি ইউনিট কমিটি করতে হবে। গতকাল বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দ্বিতীয় দফার সিরিজ বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে নেতারা এই মতামত দেন।

বিকাল ৪টায় শুরু হওয়া রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে যুক্তরাজ্য থেকে স্কাইপির মাধ্যমে যুক্ত হয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেন। মূল মঞ্চে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। বৈঠকে সাংগঠনিক বিভাগ চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা অঞ্চলের বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতিসহ ১২৯ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও অংশ নেন ৮৫ জন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০ জন নেতা বক্তব্য দেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। এতে বেশিরভাগ নেতাই আন্দোলনের পক্ষে মত দিয়ে বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাওয়া যাবে না। সরকার বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়েই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করেই নির্বাচনে যেতে হবে।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পঞ্চগড় জেলা শাখার সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে- ’৯০-এর এরশাদবিরোধী আন্দোলন আর ২০২১ সালের শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলন এক নয়। এখনকার প্রশাসন ও ’৯০-এর প্রশাসন এক নয়। ফলে নব্বইয়ের চেতনা নিয়ে আন্দোলন করলে হবে না।

বৈঠকে অংশ নেন আবদুল খালেক, রফিক শিকদার, মঞ্জুরুল আহসান, জাহাঙ্গীর আলম, মমিনুল হক, এস এম কামাল উদ্দিন চৌধুরী, মোস্তফা খান সফরী, মাহবুব ইসলাম মাহবুব, কাজী রফিক, শেখ মো. শামীম, খন্দকার মারুফ হোসেন, একরামুল হক বিপ্লব, আলাউদ্দিন হেনা, জিয়াউদ্দিন, সালাউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, জিল্লুর রহমান, সিরাজুল হক, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সুলতান মাহমুদ বাবু, মাহমুদুল হক রুবেল, ইকবাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম ইলালী, লায়লা বেগম, শামসুজ্জামান মেহেদী, আরিফা জেসমিন, রাবেয়া আলী, আনোয়ার হোসেন, মোতাহার হোসেন তালুকদার, মো. ইকবাল, মিজানুর রহমান চৌধুরী, আরিফুল হক চৌধুরী, শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, আবু কাহের শামীম, শাহ মোস্তফা, মজিবুর রহমান, হাসনা আক্তার সানু, গোলাম হায়দার, কাজী মফিজুর রহমান, ফোরকান ই আলম, সাচিং প্রু জেরী, মামুনুর রশিদ মামুন, হুম্মাম কাদের, মাজহারুল ইসলাম, সুশীল বড়–য়া, বজলুুল করিম চৌধুরী আবেদ, মশিউর রহমান, শাহাদাত হোসেন, শাহ আলম, আবু সুফিয়ান, ম্যামাচিং, মাহফুজল্লাহ ফরিদ, মর্তূজা চৌধুরী তুলা, এ জেড এম রেজওয়ানুল হক, আখতারুজ্জামান মিয়া, বিলকিস ইসলাম, সাইফুর রহমান রানা, আমিনুল ইসলাম, মীর্জা ফয়সাল, হাসান রাজিব প্রধান, জহিরুল বাচ্চু, শামসুজ্জামান সাবু, গফুর সরকার প্রমুখ। শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স। বৈঠক পরিচালনা করেন প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীম। সার্বিকভাবে সহযোগিতায় ছিলেন দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজুদ্দিন নসু, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মনির হোসেন, বেলাল আহমেদ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।