নিশ্চিন্তে থাকেন পরিবর্তন আসছে, পরিবর্তন হবে: মির্জা ফখরুল - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

নিশ্চিন্তে থাকেন পরিবর্তন আসছে, পরিবর্তন হবে: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্ত থাকেন পরিবর্তন আসছে, পরিবর্তন হবে, সত্যের জয় হবে, সুন্দরের জয় হবে এবং গণতন্ত্রের জয় হবে।’

আজ রোববার রাজধানীর ডিআরইউ মিলনায়তনে ‘বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মবার্ষিকী’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।

advertisement

বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি আবদুস সালামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, শাহ আলম, শরিফুল আলম, কাজী মহিউদ্দিন বুলবুল, রফিকুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।

ফ্যাসিস্টের হাতে ধ্বংস ছাড়া কখনো কোনো মঙ্গল হয় না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এরা যত কিছুই বলুক, এদের মূল হচ্ছে চুরি করা, লুট করা-এটা তারা খুব সফলতার সঙ্গে করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন শেষ সময় আসে, তখন দেখবেন ধর্মের কল বাতাসে নড়ে; বাতাসে নড়তে শুরু করেছে।’

 

বাংলাদেশের মানুষ এবার জেগে উঠেছে মন্তব্য করেন তিনি বলেন, ‘দেশের সব মানুষ এক বাক্যে শেখ হাসিনার পতন চায়। তারা দেশকে একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ফিরিয়ে আনতে চায়।’

গত ২৮ জুলাই রাজধানী ঢাকার মহাসমাবেশ ও ২৯ জুলাইয়ে রাজধানীর প্রবেশদ্বারে অবস্থান কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন ঢাকা শহরে লাখ লাখ মানুষ এসেছিল মহাসমাবেশে। এই মানুষগুলো দুই-তিন ধরে কষ্ট করে থেকেছে। তাদের উপর র‌্যাব, পুলিশসহ যেসব বাহিনী রয়েছে, তারা নির্মম অমানবিক এবং অন্যায়ভাবে আক্রমন করেছে। আমাদের সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আঘাত-নির্যাতন করতেও তারা দ্বিধা বোধ করেনি। রাজনীতির সঙ্গে জড়িত-এমন মানুষকে এই সরকার ছাড়ছে না। আমাদের বেশিরভাগ নেতাকর্মী ঘরে ঘুমাতে পারে না। তাকে না পেলে তার ভাই, বাবা, এমনকি স্ত্রীকে পর্যন্ত নিয়ে যায়। এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের সবাইকে মুক্ত হতে হবে।’

ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটা মুক্ত বাংলাদেশ চাই, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই, সকলের অধিকার নিশ্চিত হবে-এ রকম একটি বাংলাদেশ চাই। আমরা তো একটা জিনিসই চাচ্ছি-তা হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’

একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আমরা এই নির্বাচন চাচ্ছি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই ব্যবস্থা তো সংবিধানে ছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আপনারাও (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় এসেছেন। কেন সেটা পুরোপুরি বাতিল করে দিলেন? এখন তো কথাই শুনতে চান না। আসলে আপনারা জানেন, তত্ত্বাধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে শতকরা ১০টি আসনও পাবেন না। এই একটি কারণেই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে চায় না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই নিয়ে আবার মজার মজার কথা বলেন। গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “এটা নাকি বাংলাদেশের মধ্যে নেই, এটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলে গেছে।” বাংলাদেশের নির্বাচন নাকি দেশে নেই, এটা নাকি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “বিএনপির সঙ্গে বাইরের কোনো শক্তি নাই।” এ কথা বলার উদ্দেশ্য কী? একটাই উদ্দেশ্য আপনারা ভয় পেয়েছেন, কত সন্ত্রস্ত হয়ে গেছেন যে আপনাকে সবখান থেকে বলা হচ্ছে তোমাকে নির্বাচনটা সবচেয়ে সুন্দর ও নিরপেক্ষ করতে হবে। সেই কারণে এসব কথা বলতে শুরু করেছেন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি বিশ্বাস করে জনগণে, বিএনপি বিশ্বাস করে মানুষের শক্তিতে, বিএনপি যে গণতন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে সেই রাজনীতি আন্তর্জাতিক মহলে সমাদ্রিত। আমরা সেই কারণে অত্যন্ত আশাবাদী। অনেকে আমাকে বলে, আপনার মুখে এত হাসি দেখি কেন সব সময়। এ জন্য যে- আমি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি, এই ভয়াবহ দানব আমাদের বুক থেকে সরে যাচ্ছে উত্তল তরঙ্গের মধ্যদিয়ে।’

Comment here