নৌ-স্থলপথে আজও ঢাকামুখী মানুষের ভিড় - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

নৌ-স্থলপথে আজও ঢাকামুখী মানুষের ভিড়

পোশাক ও শিল্প কারখানা চালু হওয়ায় কাজে যোগ দিতে আজও ঢাকায় ফিরছেন অনেকেই। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে গাদাগাদি করে যাত্রী নিয়ে ছাড়ছে ফেরি। নৌপথের পাশাপাশি সড়কেও বেড়েছে যানবাহনের চাপ। কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।

 

জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য তুলে ধরা হলো:  

পোশাক ও শিল্প কারখানা চালু হওয়ায় কাজে যোগ দিতে রাজধানীতে ছুটছেন অনেকেই। বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই কর্মস্থলে ফিরতে ফেরিঘাটে ভিড় আজও রয়েছে।
মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে ভোর থেকেই যাত্রীরা গাদাগাদি করে ফেরিতে ওঠেন। চাকরি বাঁচাতে ঝুঁকি নিয়েই উত্তাল পদ্মা পাড়ি দেন সবাই।
একই চিত্র পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটেও। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানা চালু করায় স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়ায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ ফেরি পারাপার হন।
কী ভোগান্তি আর কী দূরত্ব। সড়কেও থেমে নেই ঢাকামুখী যাত্রা। মহাসড়কে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

সকালে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল মোড় পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটারজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোর থেকেই মহাসড়কে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ সেই সঙ্গে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় এ যানজট দেখা দিয়েছে বলে জানান চালকরা।
যানজটের ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিভিন্ন যানবাহন আটকে থাকে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা। মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন পরিবহনে গাদাগাদি করে যাত্রীরা ঢাকায় ফিরতে দেখা গেছে।
রংপুর থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসের চালক আব্দুল কাদের জানান, গতকাল রাত ৮টায় রংপুর থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। কিন্তু ভোরে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বরে এসে যানজটে আটকা পড়েন। সকাল ৯টা ছাড়ালেও বঙ্গবন্ধু সেতু পার হতে পারেননি।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন জানান, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে গার্মেন্টস কর্মীবাহী বিপুল সংখ্যক গাড়ি ছুটেছে ঢাকার দিকে। অতিরিক্ত যানবাহনের কারণেই মহাসড়কে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ সামলাতে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।
কর্মস্থলে ফেরা শ্রমিকদের যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে যানবাহন চলাচলও। যানজট নিরসনে তৎপর হাইওয়ে পুলিশ।
এদিকে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী রোববার (১ আগস্ট) থেকে গার্মেন্টস ও কলকারখানা খুলে দেওয়ায় ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরছেন পোশাক শ্রমিকরা।
গত শনিবার (৩১ জুলাই) সংবাদমাধ্যমকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা তা জানা যাবে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট)। পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবেও বলে জানান তিনি।

Comment here