নয়া দিগন্ত ও যায়যায় দিন সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

নয়া দিগন্ত ও যায়যায় দিন সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

আদালত প্রতিবেদক ; দৈনিক নয়া দিগন্ত ও যায়যায় দিন পত্রিকার সম্পাদকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কূরুচিপূর্ণ লেখা প্রকাশ ও প্রচারের অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামি ২০ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন। মামলায় আসামিরা হলেন দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, যায়যায় দিন পত্রিকার সম্পাদক কাজী রুকুন উদ্দিন আহমেদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চাকরিচ্যুত অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার অন্যতম আসামি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক (চাকরিচ্যুত) মোর্শেদ হাসান খান গত ২০১৬ সালের ৩০ মে দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকার ‘স্মৃতিময় জিয়া’ শিরোনামে একটি নিবন্ধন লেখেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ শিরোনামে আরেকটি নিবন্ধন ছাপেন। ওই লেখা দুটিতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে তথ্য বিকৃতি করে মিথ্যা, বানোয়াট ও অবমাননাকর বক্তব্য লেখেন, যা পরবর্তীতে দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন ও দৈনিক যায়যায় দিন প্রত্রিকার সম্পাদক কাজী রুকুন উদ্দিন আহমেদ যাচাই-বাছাই না করে প্রকাশ ও প্রচার করেন।

 

অভিযোগ আরও জানা যায়, আসামিদের এরূপ লেখা প্রকাশ ও প্রচারের ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, ইতিহাস বিকৃতি, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ বলে বাদী মনে করেন। আর এ জন্যই তিনি এ তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে, ইতিহাস বিকৃতি ও বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাবির সিন্ডিকেটের এক সভায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়। সেই ট্রাইবুনালের সুপারিশক্রমে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মু. সামাদ।

Comment here