পঞ্চগড়ে হামলার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক : পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) ওপর হামলা ঘটনা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলের পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার রাত ৮টায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

আজ মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। সভায় সম্প্রতি পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে সরকার জনগণের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এই ভয়ানক হীন সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করছে। অবৈধ সরকার এই জঘন্য ন্যাক্কারজনক সংঘাত ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বিরোধী দল বিএনপির ওপর দোষারোপ করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চায়।

এ ঘটনায় অবৈধ সরকার এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০ জন বিএনপি সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। রেলমন্ত্রী সুজন পঞ্চগড়ে ওই এলাকা সফরে গেলে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সদস্যরা তাকে স্পষ্ট জানান যে, আক্রমণকারীরা তার সঙ্গেই রয়েছে। বিএনপির সভায় নেতারা মনে করেন, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, সরকারের হীন পরিকল্পনা অনুয়ায়ী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা এই সাম্প্রদায়িক হামলা সংঘটিত হয়েছে।

সভা মনে করে যে, এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর একের পর এক হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটতারাজের ঘটনা ঘটছে, যা এই অবৈধ সরকারের ক্ষমতায় অবৈধভাবে টিকে থাকার নীল নকশার অংশ।

এই অবৈধ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান নেতারা।

এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করার জন্য দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি দল অতি দ্রুত পঞ্চগড় সফর করবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তি ও পঞ্চগড়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার দাবি জানানো হয়।