পদ্মা সেতু অতিক্রম করে প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন ঢাকায় - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

পদ্মা সেতু অতিক্রম করে প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন ঢাকায়

বদলে গেছে দেশের রেলওয়ের দৃশ্যপট। অটো সিগনাল পদ্ধতিতে আধুনিক রেল নেটওয়ার্কের নতুন মাইলফলক রচিত হতে যাচ্ছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা থেকে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন যাবে ভাঙ্গায়।

তার আগে স্বপ্নের পদ্মা সেতু অতিক্রম করে প্রথম বারের মতো আজ ঢাকায় প্রবেশ করলো যাত্রীবগির ট্রেন। এর আগে ট্র্যাক কার ও মালবাহী ট্রেন পদ্মা সেতু অতিক্রম করলেও এই প্রথম যাত্রীবগির ট্রেন প্রবেশ করেছে রাজধানীতে।

রেলপথমন্ত্রী পরীক্ষামূলক ট্রেনে ভাঙা পর্যন্ত পরিদর্শনে যাবেন বৃহস্পতিবার। তাই ৮ বগি সম্বলিত একটি বিশেষ ট্রেন আজ রাত পৌনে ৮টায় রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে পৌঁছায়। শীততাপ সুবিধাও রয়েছে ট্রেনটিতে। প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেনসহ সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তা, চীনা এবং দেশী প্রকৌশলীরা ট্রেনটিতে ছিলেন।

প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানান, সকাল ৯টায় কমলাপুরের নতুনভাবে সংস্কার করা অংশ থেকে পরীক্ষামূলক ট্রেন রওনা হবে ফরিদপুরের ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে। পরীক্ষামূলক এই ট্রেনটি পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের স্টেশনেই যাত্রা বিরতির কথা রয়েছে।

ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ১০ স্টেশনের মধ্য শুরুর দিনেই চালু হচ্ছে ৫ স্টেশন।

প্রকল্প ব্যবস্থাপক-১ ব্রেগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ জানান, পদ্মাসেতু এবং দুই পারের রেলপথ প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ অক্টোবর রেল পথে পদ্মা সেতু অতিক্রমের পরিকল্পনা রয়েছে। দ্রুত গতির ট্রেনে চরে রাজধানী থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা যাবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরদিনই রেলপথ উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

পদ্মা সেতুর রেলপথ চালু এবং প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে পদ্মার দুই পারের মানুষ উচ্ছ্বসিত। প্রকল্প জুড়ে এখন ভিশন ব্যস্ততা।

প্রকৌশলীরা বলছেন, ‘দেশের নতুন রেল নেটওয়ার্কে যুগান্তকারী এক অধ্যায় রচিত হতে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পুরো প্রকল্প শেষ হবে আগামী বছরের জুনে। তবে কাজ সম্পন্ন হয়ে যাওয়ায় এর আগেই ফরিদপুরের ভাঙ্গা চালু করতে তাই রেলপথমন্ত্রী পরীক্ষামূলক ট্রেনে ভাঙা পর্যন্ত পরিদর্শনে যাবেন বৃহস্পতিবার।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, ভাঙ্গা থেকে রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, খুলনা, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, যশোরের বেনাপোল রুটে এমনকি ভারতে যাওয়ার মৈত্রী ট্রেনেরও পদ্মা সেতু ব্যবহারের প্রস্তুতি রয়েছে। পর্যায়ক্রমে পায়রা বন্দরসহ আরও নতুন নেটওয়ার্ক যুক্ত হবে পদ্মা সেতুর রেল লাইনে।

এই ৮২ কিলোমিটার রেল পথে কোন লেভেল ক্রসিং থাকছে না। ১২০ কিলোমিটার গতিতে রেল চলাচলে সব রকম দক্ষতা অর্জন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

Comment here