আজ ১৮ এপ্রিল, মঙ্গলবার দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। এই রাত মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত। প্রতিবছর পবিত্র রমজানের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে শবে কদর পালন করা হয়। এই রাত ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটান।
এই রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুসারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নিধারণ করা হয়। তাই মুসলমানদের কাছে এ রাত অতীব পুণ্যময় ও মহিমান্বিত। ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাত কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজানের দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে আলেমদের অভিমত। কদরের এই রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয় এবং এই রাতকে কেন্দ্র করে কোরআনে ‘আল-কদর’ নামে একটি সুরাও আছে।
‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, অন্য সময়ে এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব পাওয়া যায়, কদরের রাতের ইবাদতে তার চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও নিজেদের গুনাহ মাফ এবং অধিক সওয়াব হাসিলের আশায় নফল ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকির-আজকারের মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করবেন। শবে কদর উপলক্ষে ২৭ রমজান সরকারি ছুটি রয়েছে।
শবে কদর উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ওয়াজ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার জোহরের নামাজের পর শবে কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা এবং দোয়া মাহফিল হবে। ফজরের নামাজের পর দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইবাদত ও আমলের সমাপ্তি ঘটবে।
শবে কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মহামারি, সংঘাত, যুদ্ধবিগ্রহ, অভাব-অনটনসহ বিভিন্ন কারণে হাজার হাজার মানুষ অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে।’ সব সংকট থেকে উত্তরণের জন্য তিনি সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেছেন।
Comment here