পরিচয় মিলল সেই নারীর - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

পরিচয় মিলল সেই নারীর

লালমনিরহাট প্রতিনিধি : দীর্ঘ চার মাস ধরে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেই অন্তঃসত্ত্বা নারীর পরিচয় মিলিছে অবশেষে। তার নাম রমিতা বেগম। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বাংড়া এলাকার সুরুজ আলী বাদশার স্ত্রী। মাস পাঁচেক আগে বাসে করে টাঙ্গাইল থেকে শেরপুর যাওয়ার সময় ভুলে লালমনিরহাট চলে এসেছিলেন রমিতা। পত্রিকায় ছবিসহ সংবাদ দেখে মঙ্গলবার রাতেই স্ত্রীর খোঁজে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন সুরুজ। দৈনিক আমাদের সময়েও গত সোমবার ‘কে সেই নারী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চার মাস আগে সন্ধ্যায় হাসপাতাল গেটের সামনে পলিথিন বিছিয়ে শুয়ে থাকা রমিতাকে অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করেন সিনিয়র স্টাফ নার্স চামেলী বেগম। কয়েক দিন চিকিৎসার পর নিরুদ্দেশ হলেও পুনরায় হাসপাতালে ফিরে আসেন ওই নারী। সরকারি সহায়তায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় তিনি অন্তঃসত্ত্বা।

তবে মানসিকভাবে দুর্বল রমিতা নিজের পরিচয় দিতে ভয় পাচ্ছিলেন। হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকরা অনেকভাবেই তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে এ ঘটনায় সদর থানায় একটি জিডি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সুরুজ আলী বাদশা জানান, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর বাবা-মা হারা রমিতা বেগমকে চার বছর আগে বিয়ে করেন তিনি। স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন টাঙ্গাইলে। ৫-৬ মাস আগে খালার বাড়ি শেরপুরের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা রমিতা। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও স্ত্রীর সন্ধান পাননি সুরুজ।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল থানায় জিডি করতে গেলে রমিতার ছবি না থাকায় পুলিশ আমলে নেয়নি। একপর্যায়ে স্ত্রীর আশাই ছেড়ে দেন তিনি। তবে পত্রিকায় রমিতার ছবিসহ সংবাদ দেখে সন্তান রতনকে নিয়ে ছুটে আসেন হাসপাতালে। স্ত্রীর সন্ধান পেয়ে বেশ আনন্দিত সুরুজ আলী বাদশা।

এদিকে স্বামীকে কাছে পেয়ে বিড়বিড় করে নিজের ঠিকানা বলতে শুরু করেন রমিতা। একমাত্র সন্তানকে টেনে নেন কোলে। এখন স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বাড়ি ফিরতে চান তিনি। তবে লালমনিরহাট সদর থানায় জিডি থাকায় পুলিশের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে ছাড়পত্র দেবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে থানার ওসি মাহফুজ আলম বলেন, ‘রমিতা বেগম ও তার স্বামীর পুরো ঠিকানা যাচাইসহ কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। এর পরই স্বামীর কাছে রমিতাকে হস্তান্তর করা হবে।’

Comment here