পল্লবীর ওসিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

পল্লবীর ওসিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ

আদালত প্রতিবেদক : বাসায় ঢুকে ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগে রাজধানীর পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলামসহ ১৭ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সিএমএম আদালত। আজ রোববার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।

গত ২০ জানুয়ারি পারভেজ আহম্মদ নামে এক ব্যবসায়ী এ মামলার আবেদন করেছিলেন। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে রোববার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন।

মামলা খারিজের আদেশে বিচারক বলেন, আসামিদের সঙ্গে বাদীর পূর্ব বিরোধ বা শত্রুতা ছিল বলে আবেদনে উল্লেখ নেই। আসামিরা সরকারি দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে জানানো হয়েছে। আসামিরা মাদক উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা এবং বাদীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করার কারণে এই মামলার আবেদন করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় এ মামলায় অগ্রসর হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে দেখা গেছে। তাই মামলাটি খারিজ করা হল।

মামলায় আরও যাদের আসামি করা হয়েছিল তারা হলেন-পল্লবী থানার এসআই কাউসার মাহমুদ, জহির উদ্দিন আহমেদ, নূরে আলম সিদ্দিকী, মো. সজিব খান, মামুন কাজী, মিল্টন দত্ত, মহিদুল ইসলাম, পার্থ মল্লিক, পিন্টু কুমার, মো. শাহরিয়ার নাঈম রোমান, মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, মো. আনোয়ারুল ইসলাম, মো. ফেরদৌস রহমান, এএসআই সোহেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, হরিদাস রায়, মো. আকিজুল ইসলাম এবং পুলিশের তথ্যদাতা খোকন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় পরিবারসহ বিয়ের দাওয়াতে যান পারভেজ আহম্মদ। রাত সাড়ে ১০টার পর তার পল্লবীর বাসা ও দোকানের চারদিকে জড়ো হতে থাকে পুলিশ। রাত সোয়া ১২টার দিকে পারভেজ আহম্মদ জানতে পারেন, ওসি পারভেজ ইসলামের নেতৃত্বে অন্যরা তার ঘরের তালা ভেঙে তল্লাশি করছে। রাত ১টায় বাসায় ফিরে পারভেজ আহম্মদ দেখতে পান, তার সব ঘর এলোমেলো। ঘরে থাকা কাপড়, টাকা, স্বর্ণালঙ্কার লুট করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা বাসার সিসি ক্যামেরাও ভাঙচুর করেছে। এতে তার ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পারভেজ আহম্মদ বাসায় না থাকায় তার ভাইকে মিথ্যা অভিযোগে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পল্লবী থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে। পারভেজ আহম্মদ, তার আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধেও মামলা করেছে পুলিশ।

Comment here