পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার এ বছরেই করার দাবি বিএনপির - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার এ বছরেই করার দাবি বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক : পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের চূড়ান্ত বিচারের রায় চলতি বছরের মধ্যেই করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের একাদশ বার্ষিকীতে আজ বৃহস্পতিবার বনানী সেনা কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতি সৌধে পুস্পমাল্য অর্পণের পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এই দাবি জানান। একই সঙ্গে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিও জানান তিনি।

মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে, এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত ফয়সালা করা সম্ভব হয়নি। বিচারের দীর্ঘ সূত্রিতা আমাদেরকে হতাশ করেছে, দেশবাসী মর্মাহত হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে।

তিনি বলেন, এই বছরের মধ্যে লিফ টু আপিল এবং আপিলের কার্যক্রম শুরু হবে বলে কোনো আশা, কোনো লক্ষন আমরা দেখতে পারছি না। এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার জন্যে বিচার বিভাগের প্রতি আমরা আবেদন জানাচ্ছি। আমরা আশা করি, এই বছরের মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত ফয়সালা করা হবে, চূড়ান্ত রায় দেওয়া হবে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

এসময় পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনায় তৎকালীন কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লে. জেনারেল জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে সেনা কর্তৃপক্ষ একটা কোর্ট অব ইনকোয়ারির প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানান অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হাফিজ।

তিনি বলেন, এই ধরনের হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। এর সুষ্ঠু বিচার এবং তদন্তপূর্ব সুষ্ঠু বিচার কামনা করি। এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করার জন্যে। এর বেনেফিসিয়ারি কারা সেটিও দেশবাসী পরিষ্কার জানতে চায়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন,  ইতিমধ্যে নিম্ন বিচারিক আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতাকে খালাস দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তাদের সবাইকে আনা হয়নি, কয়েকজনকে আনা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে যারা পরিকল্পনাকারী দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী তারা এখন পর্যন্ত পর্দা অন্তরালে রয়েছে। দেশবাসীর সামনে তাদের পরিচিতি স্পষ্ট নয়। আমরা সরকারকে অনুরোধ জানাবো হত্যাকান্ডের যারা পরিকল্পনাকারী দেশি-বিদেশি শক্তিসমূহ, ষড়যন্ত্রকারী তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হোক।

হাফিজ বলেন, একজন সুবেদার মেজরকে হত্যা করা হয়েছিল যিনি অফিসারদেরকে রক্ষা করতে গিয়েছিলেন। তার পরিবার এখন পর্যন্ত কোনো সুযোগ-সুবিধা পায়নি। আমি এ ব্যাপারে সরকারের আশু দৃষ্টি কামনা করছি।

এ সময়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান  মেজর (অব) শাহজাহান ওমর উত্তম, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান লে. জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, মেজর জেনারেল(অব)  ফজলে এলাহী আকবর,  কর্নেল (অব.) মো. ইসহাক, কর্নেল (অব.)  মনিষ দেওয়ান,  কর্নেল (অব.) কামরুজ্জামান, মেজর (অব.) মো. হানিফ, মেজর (অব.) সারোয়ার হোসেন,  মেজর (অব.) সাঈদুল ইসলাম, মেজর (অব.) মো. হাসান, বিএনপি নেতা শামীমুর রহমান শামীম, শাহ খালেদ হাসান চৌধুরী প্রমুখ।

 

Comment here