পুলিশ দেখে পরীক্ষার হলের তিনতলা থেকে লাফ দিলো ছাত্র - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

পুলিশ দেখে পরীক্ষার হলের তিনতলা থেকে লাফ দিলো ছাত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক : পরীক্ষার হলে আসামি ধরতে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু হঠাৎ বিষয়টি দেখে আতঙ্কে তিনতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ছাত্র বর্তমানে কিশোরগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার দিন সে একাদশ শ্রেণির প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা দিচ্ছিল।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় এই শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হলে বিষয়টি সামনে আসে।

ওই ছাত্রের চাচা মো. নাসির উদ্দিন জানান, প্রায় এক মাস আগে বাড়ির সীমানা নিয়ে তাদের সঙ্গে চাচাতো ভাইদের মধ্যে মারামারি হয়। এতে উভয় পক্ষের চারজন আহত হন। পরে অপরপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা করে। মামলায় তার এই আহত ভাতিজাকেও আসামি করা হয়। গতকাল তার ভাতিজার পরীক্ষা চলাকালে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পল্লব সরকার ফোর্স নিয়ে কলেজে যান।

আহত ছাত্রের চাচার অভিযোগ, এরপর কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই কলেজ ভবনের তৃতীয় তলায় পরীক্ষারত এই ছাত্রকে ধরতে যান এসআই। এতে সে ভয়ে তিনতলা থেকে লাফ দিয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে পুলিশ তাকে নিচ থেকে আহত অবস্থায় ধরে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে টেনেহিঁচড়ে কলেজ থেকে বের করে। পরে তার অবস্থা গুরুতর হলে পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘ওপর থেকে পড়ে যাওয়ায় এই কিশোর দুই পায়ের তালু ও কোমরে আঘাত পায়। তবে পায়ের তালুতে আঘাত বেশি হওয়ায় তার দুই পা এক্স-রে করার পর প্লাস্টার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুস্থ হতে কিছুদিন লাগবে।’

এ বিষয়ে জানতে এসআই পল্লবের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুবকর সিদ্দিক কলেজের ভেতরে গিয়ে আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী এজাহারভুক্ত আসামি। তাই কলেজ থেকে বের হওয়ার সময় আটক করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে গুরুদয়াল সরকারি কলেজের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফেরদৌস আহাম্মেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আসামি ধরতে পুলিশ এসে অধ্যক্ষ ইমান আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি তাদের হলে যেতে অনুমতি দেননি। কিন্তু তারা (সাদা পোশাক পরিহিত পুলিশ) অনুমতি ছাড়াই কলেজের আবদুল হামিদ ভবনের তৃতীয় তলায় উঠে যান।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ সাদা পোশাকে থাকায় কলেজ কর্তৃপক্ষও বিষয়টি বুঝতে পারেনি। যে কারণে ছেলেটি গ্রেপ্তার এড়াতে তৃতীয় তলা থেকে নিচে লাফ দেয় এবং এ রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।’

Comment here