পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা

ধামরাই প্রতিনিধি : ঢাকার ধামরাই থানায় পুলিশের এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এক কলেজ ছাত্রী বাদি হয়ে সাদ্দাম হোসেন (২১) নামে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

ডিএমপিতে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দামের বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ধামরাই থানায় ধর্ষণ মামলাটি রুজু করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বাসনা গ্রামে, বাবার নাম মোজাম্মেল হক।

এর আগে গতকাল বুধবার ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায় ধামরাই থানা পুলিশ। তার আগে বিয়ের দাবিতে সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে তিনদিন অবস্থান করেন ভুক্তভোগী।

তরুণী জানান, তিনি বাড়িতে অবস্থা নেওয়ার পর বিয়ের জন্য কাজি ডাকার নাম করে কৌশলে পালিয়ে যান সাদ্দামের মা-বাবা। তিনি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ধামরাই উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের বাসনা গ্রামের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন গত একবছর আগে ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন। মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর তারা দেখা করেন। এর মধ্যে ওই তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সাদ্দাম। তরুণী রাজি হলে তাকে ধামরাইয়ের একটি রিসোর্ট সেন্টারে ও সাভারের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়েন তিনি। গত চার মাস আগে সাদ্দাম তার বাবাকে নিয়ে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে মেয়ের বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন। যৌতুক হিসেবে নগদ ৫ লাখ টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণালংকার দাবি করেন তার বাবা। কিন্তু তরুণীর বাবা যৌতুক দিতে অস্বীকার করেন। এরপর থেকে সাদ্দাম তার প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। গত সোমবার সকালে দশদিনের ছুটিতে বাড়িতে আসেন সাদ্দাম। খবর পেয়ে বিয়ের দাবি নিয়ে তার বাড়ি গিয়ে অবস্থান নেন ওই তরুণী। এরপরই সাদ্দাম ও তার পরিবার লোকজন পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে কথা বলতে পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দামের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে তার বাবা জানান, ওই তরুণীকে তাদের ছেলে বিয়ে করলে পরিবারের কোনো আপত্তি নেই।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা, মামলা নেওয়া হয়েছে। তরুণী স্বাস্থ্য পরীক্ষা দিয়ে আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাদ্দামকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Comment here