নিজস্ব প্রতিবেদক : প্যারোল নয়, আইনি প্রক্রিয়ায় কারাবন্দী খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় বিএনপি। সম্প্রতি ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে টেলিফোনে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে প্যারোল নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের দলের এই অবস্থানের কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর আগে সকালে জাতীয়তা্বাদী তাঁতী দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের আহবায়ক কালাম আজাদসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেন, তাঁতী দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমানসহ সংগঠনটি নেতৃ্বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি আপনাদের পরিষ্কার করে সেদিনও বলেছি যে, এই কথাগুলো (প্যারোল) আপনারা তাকে (ওবায়দুল কাদের) জিজ্ঞাসা করেন না কেন? কারণ আমরা তো প্যারোল নিয়ে কোনো কথা বলিনি আমাদের দল থেকে আজ পর্যন্ত। বলেছি কী? বলিনি তো। এটা নিয়ে এখন কথা বলাটা কতটুকু সঠিক হয়েছে উনি বিবেচনা করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তার শরীরের যে অবস্থা তাতে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেজন্য আমরা বলেছি যে, এই সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে কারাগারের মধ্যে। অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দেওয়া উচিত তাদেরই স্বার্থে।’
আইনি প্রক্রিয়ায় যদি বেগম জিয়ার মুক্তি না হয়, সে ক্ষেত্রে প্যারোলে আবেদন করার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা তো সম্পূর্ণভাবে তার (খালেদা জিয়া) পরিবারের ব্যাপার, ম্যাডামের ব্যাপার। তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন।’
খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে দল কী ভাবছে এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘আমরা তো আপনাদের বরাবর বলে আসছি যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে একটা মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী, তিনি জামিন পাওয়ার যোগ্য। অর্থাৎ এই মামলায় তিনি পেতে পারেন এবং জামিন পাওয়াই তার উচিত ছিল। কিন্তু এই সরকার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে জামিন না দিয়ে তাকে আটক করে রেখেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই নিয়ে আন্দোলন করছি, গত দুই বছর ধরেই আমরা আন্দোলনের মধ্যে আছি এবং আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া, সেই মুক্তি দিতে সরকার বাধ্য হবেন। অবশ্যই জনগণের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দেশনেত্রীর মুক্তি এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে তারা এগিয়ে আসবেন। কারণ এদেশে গণতন্ত্রকে সত্যিকার অর্থেই যদি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হয় তাহলে বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া সেটা সম্ভব হবে না।’
খালেদা জিয়া গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন এবং তাকে দিয়ে এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
Comment here