প্রেস রিলিজে কমিটি হবে না যুবলীগের - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রাজনীতি

প্রেস রিলিজে কমিটি হবে না যুবলীগের

মুহম্মদ আকবর : আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের কোনো কমিটি প্রেস রিলিজে হবে না। কেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছাড়াও জেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিও সম্মেলনের মাধ্যমে করতে হবে। কেন্দ্র থেকে এমন নির্দেশনা শিগগিরই আসছে বলে সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কেউ যাতে পকেট কমিটি করতে না পারে, নিজস্ব বলয় তৈরি করতে যেন সংগঠনের মধ্যে সিন্ডিকেট তৈরি করতে না পারে সে জন্য সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে কমিটি দেওয়া হবে। হাইকমান্ডের এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল পর্যায়ক্রমে ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশের নেতারদের সঙ্গে সভা করছেন।

আগামী ১৮ মার্চ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল আমাদের সময়কে জানান, কীভাবে সম্মেলন

করতে হবে, কেমন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে আনতে হবে এ বিষয়ে আমরা বার্তা দেব। এভাবে আমরা ৮ বিভাগের নেতাদের সঙ্গেই বসব। আশা করছি যুবলীগ তার স্বকীয় আদর্শে কাজ করবে।

বিতর্কিত নেতাদের অনুসারীরা জায়গা পাবে কিনা জানতে চাইলে নিখিল বলেন, একজন নেতা যখন নেতৃত্বে থাকেন তখন সবাই তার প্রতি আস্থা রেখে রাজনীতি করেন। সেখানে যদি নেতা ভুল করেন তা হলে সে জন্য তো তার অনুসারীরা দায়ী হতে পারেন না। তবে হ্যাঁ, নেতার অনুসারীদের মধ্যেও কেউ যদি বিতর্কিত হন, অন্যায় কাজে লিপ্ত থাকেন তা হলে তাদের আমরা কমিটিতে ঠাঁই দেব না। এটা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ।

তিনি জানান, ঢাকা মহানগর ও জেলা কমিটির আগে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার নির্দেশনা রয়েছে। মার্চের মধ্যে কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে। এর পর জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সম্মেলন হবে। তবে ঢাকা মহানগর যুবলীগের সম্মেলন এ বছর হবে কিনা এ নিয়ে সংশয় রয়েছে।

যুবলীগের সাবেক দুই নেতা জানান, বিতর্কিত নেতাদের বলয়ের বাইরে ঢাকা মহানগর যুবলীগের কমিটি দেওয়া কঠিন। এ কারণে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ঢাকা মহানগরের কমিটি দিতে দেরি করছেন সংগঠনটির শীর্ষনেতারা।

ওই দুই নেতা আরও বলেন, ক্যাসিনো কারবারে সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত হয় যুবলীগ। বিশেষ করে ঢাকা মহানগরের শীর্ষ নেতারা। সংগঠনটিকে পরিচ্ছন্ন করে আগের জায়গায় নিয়ে যেতে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে শামস্ পরশ চেয়ারম্যান পদে আনা হয়েছে। স্বভাবতই তিনি বাবার আদর্শের সংগঠনটিতে বিতর্কিত কাউকে জায়গা দেবেন না।

বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা চাঁদাবাজি, ক্যাসিনো কর্মকান্ডসহ নানা নেতিবাচক কর্মকান্ডে যুক্ত থাকার কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে যুবলীগ। আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন শুরু হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে। এর পর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। সম্রাট ও আরমানসহ বেশ কয়েক নেতাকে বহিষ্কারও করা হয়। সে সময়ের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকেও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

Comment here